ঘাটছাড়া করার প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীতে মাঝিদের অনশন (ভিডিওসহ)
নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীতে সাম্পান মাঝি সমিতিকে ঘাট ইজারা না দেওয়ার প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীতে অনশন করছে মাঝিদের আটটি সংগঠন।
মঙ্গলবার(২৫ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে সদরঘাটে সাম্পান নিয়ে নদীতে অনশন করেছে তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি। অনশন চলবে সন্ধ্যা ৬টা র্পযন্ত।
এদিকে হঠাৎ করে ডাকা অনশনের কারনে বিপাকে পড়েছে ঘাটে আসা যাত্রী-সাধারন। র্দীঘক্ষন অপেক্ষা করে কেউ নদী পাড়ি দিতে পারছে না।
অনশনে সংগঠনের নেতারা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমকে এর জন্য দায়ী করেন। নেতারা বলেন, সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম অন্যায়ভাবে অন্য ব্যবসায়ীদের নিকট ঘাট ইজারা দেয়।
সাম্পান মাঝিদের নদীতে অনশননগরীতে সাম্পান মাঝি সমতিকিে ঘাট ইজারা না দেয়ার প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীতে অনশন করছে মাঝিদের আটটি সংগঠন। মঙ্গলবার(২৫ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে সদরঘাটে সাম্পান নিয়ে নদীতে অনশন করেছে তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি। অনশন চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
Posted by Chattolar Khabor on Tuesday, August 25, 2020
তবে অভিযোগ নিয়ে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন মফিদুল আলম, তিনি বলেন পাটনিজীবীরা অনশন করে যে বক্তব্য দিচ্ছে তা সত্য নয়। ঘাটটি সিটি করপোরেশন ইজারা দিয়ে থাকে। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা ঘাট বুঝে পায়। এর সাথে সিটি করপোরেশেনের রাজস্বের বিষয়টি জড়িত। অন্যদিকে পাটনিজীবীরা ইজারা তালিকায় ১৪ নাম্বারে পড়ে থাকে। নিলামে দামও কম বলে। তখন বাধ্য হয়েই সর্বোচ্চ দরদাতা কে ঘাট দিয়ে দিতে হয়। এতে আমাদের কিছুই করার থাকে না। সিটি করপোরেশনকে রাজস্ব বঞ্চিত করতে পারি না।
এদিকে ঘাটহারা মাঝিরা অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করে। মন্ত্রনালয় অভিযোগটি স্থানীয় সরকার বিভাগকে তদারকি করার দায়িত্ব দেয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিম পেশাদার সাম্পান মাঝি সমিতিকে পুনরায় ঘাট ইজারা দিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। যা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
একদিকে করোনা মহামারী অন্যদিকে ঘাটবিহীন সাম্পান মাঝি সব মলিয়ে চরম র্দুদিন পার করছে এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্টরা। এভাবে চলতে থাকলে র্কনফুলীর ঐতিহ্যবাহী সাম্পান হারিয়ে যাবে বলেও মত অনশনকারীদের । মাঝিরা বলছে, ইতোমধ্যে অনেকে পেশা ছেড়ে দিয়েছে। চট্টগ্রামের র্কনফুলী নদীর ঐতিহ্য হচ্ছে সাম্পান। সে সাম্পান যদি নদীতে নামতে না পারে তাহলে চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি সবই বিলীন হয়ে যাবে।
কামরুল/চখ