ডা. শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা করেছে নির্বাচনী আদালত
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাঁকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর)) দুপুর ১২টায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এই রায় দেন।
বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাঁকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেভাবে রাজনীতিতে শাহাদাত:
ছাত্রদলের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এমবিবিএস পাস করার পর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। সংগঠনটির চট্টগ্রাম জেলা সভাপতির পাশাপাশি বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও তিনি। চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি ছিলেন তিনি। বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও করা হয়েছিল ডা. শাহাদাতকে। পরে নগর বিএনপির সভাপতি পদ পেতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন।
চিকিৎসক হিসেবেও সফল শাহাদাত:
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি একজন চিকিৎসক হিসেবেও সফল শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর তিনি ফিজিক্যাল মেডিসিন বিষয়ে এমডি করেন। চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়ে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে একটি চেম্বার রয়েছে গোল্ড মেডেল পাওয়া ডা. শাহাদাত হোসেনের। চিকিৎসা পেশায় বেশ সুনামও রয়েছে তার।
১৯৬৬ সালের ২ জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার করলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শাহাদাত হোসেন। তার বাবা প্রয়াত আহমদুর রহমান ও মা শায়েস্তা খানম। তার স্ত্রীর ফারজানা হোসেন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকেন কানাডা।
মআ/চখ