‘এক দফা এক দাবি’ চবিতে ভিসি দিবি, ঢাবি যখন ভিসি পায়, চবি কেন পিছিয়ে যায়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় তাদেরকে ‘এক দফা এক দাবি, চবিতে ভিসি দিবি’, ‘রাবি যখন ভিসি পায়, চবি কেন পিছিয়ে যায়’, ‘ঢাবি যখন ভিসি পায়, চবি কেন পিছিয়ে যায়’, ‘বৈষম্য মানি না, মানবো না, মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে চবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুর রহমান বলেন, গত ১ মাস হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। এরমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেখানে ক্লাস চালু হয়েছে, হলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে চবিতে ভূতুরে পরিবেশ বিরাজ করছে। মনে হচ্ছে, এখানে কোন লোকজন থাকে না। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নেই। এজন্য আমরা চাই, অতি দ্রুত চবিতে দক্ষ, যোগ্য, শিক্ষার্থীবান্ধব এবং গবেষণাবান্ধব উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, আমাদেরকে অবহেলা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভৌগোলিক দিক থেকে অনেক দূরে, শহর থেকে দূরে হওয়ায় আমাদের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে না। ঢাবিতে আমার বন্ধু ক্লাস করছে, পরীক্ষা দিচ্ছে, স্নাতক শেষ করছে আর আমি এদিকে পিছিয়ে থাকবো, এটা যৌক্তিক কারণ হতে পারে না।
এ সময় প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি কি ঢাবি থেকে পিছিয়ে থাকার জন্য? সবাই ক্লাস করছে আর আমরা আন্দোলন করছি। আমাদেরকে কি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে গড়তে চান, না দেশ গড়ার কাজে লাগাতে চান? চবিতে আজকের মধ্যে ভিসি নিয়োগ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত,গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের পদত্যাগ করার পর থেকে ১ মাস প্রশাসনহীন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। স্থবির হয়ে পড়েছে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কাও। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
চখ/ পিবি-রা