চট্টগ্রামে শেখ হাসিনাসহ ১১৫ জনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা
ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের নামে সাইবার আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন নুর মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি। মামলায় অজ্ঞাত আরও শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩–এর ১৯ (২), ২২ (২), ২৩ (২), ২৪ (২), ২৫ (২), ২৭ (২), ৩১ (২), ৩৩ (২) ও ৩৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম নওশাদ আলী বলেন, ‘আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. সোহায়েল, বন্দর কর্মচারী পরিষদের তিনজন নেতাসহ মোট ১৫ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী নুর মোহাম্মদ চট্টগ্রামে দুরন্ত সাপ্লাইয়ার ও দুরন্ত বাজার নামে অনলাইনভিত্তিক দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি অনলাইনে অর্ডার নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেন। দৈনিক প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবসায়িক লেনদেন ২০ লাখ টাকা।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশের ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এতে গ্রাহকদের সঙ্গে বাদীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে চরম বিপাকে ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১ নম্বর আসামির নির্দেশে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকে। বাদীর ব্যবসা অনলাইন ও সফট ওয়ারভিত্তিক হওয়ায় কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, গাড়ি ভাড়া, পণ্য সরবরাহ, কাঁচামাল নষ্ট হওয়া ও আর্থিক লেনদেন ব্যাহত হওয়ার কারণে বাদী ব্যবসায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ফখ/চখ