পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও কাটা যাবে না: ড. ফাহমিদা খানম
নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা কালে পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম বলেন,‘ কোন পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।’
আজ মঙ্গলবার(৩ সেপ্টেম্বর) পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার সময় তিনি এসব কথা বলেছেন।
অতিরিক্ত সচিব পরিদর্শনকালে ২ জনকে পাহাড় কাটা অবস্থায় হাতে নাতে ধরা হয়। এসময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। এসময় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষন আইনের আওতায় অপরাধী দুজনকে জরিমানা করা হয়। এদের একজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম এ সময় বলেছেন ,‘পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাশ করা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোন ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোন পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না। যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন তাদের আগামী সাতদিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে ।
এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মোঃ হাসান হাছিবুর রহমান,পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চখ/বিদ্যুৎ