দেশের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি
সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ শুরু করেন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা আলাদা আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এসব পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং সদ্য সাবেক উপচার্যদের মূলপদে (বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
আর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
এই ১৬ অধ্যাপকের মধ্যে ১২ জনকে মূলপদ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদে যোগদানের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আর অবসরে চলে যাওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন সে অনুমতি পাননি।
চখ/ককন