চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৭ জনসহ মোট ১০ জন ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।
শনিবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া একজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। এ বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪১৭ জন। এ ছাড়া এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, বৃষ্টি থামার পর মশা বাড়ে। জমে থাকা পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা জন্মায়। এ সময়টাতে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন থেকে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হয়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
গবেষকরা জানান, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীদের ৬০ শতাংশ পাঁচটি এলাকায় বাস করে। সেগুলোকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এলাকাগুলো হলো- বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং ও বায়েজিদ বোস্তামী।
এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে গবেষণায় দেখা গেছে, গতবছর ৭৫ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী ডেঙ্গু ২ সেরোটাইপে সংক্রমিত হয়েছেন। ডেঙ্গু ১ সেরোটাইপে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ শতাংশ রোগী এবং ডেঙ্গু ৩ সেরোটাইপে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ শতাংশ। তবে ডেঙ্গুর চারটি ধরনের (সেরোটাইপ) সর্বশেষ ধরন ডেঙ্গু ৪ সেরোটাইপ কোনো রোগীর মধ্যে পাওয়া যায়নি।
মুন/চখ