চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও কাজ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে, পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও চাঁদাবাজির বিষয়ে খেয়াল রাখছেন। আমরা আশা করি, এবার ঈদুল আজহায় চাঁদাবাজি অনেক কম দেখব।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় পুলিশ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চেক করার জন্য সড়কে থামায়। গাড়িতে অবৈধ কিছু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এমন মনে করলে পুলিশ গাড়ি থামায়। এটি কোনো চাঁদাবাজির অংশ নয়, নিয়মিত চেকিংয়ের বিষয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে চাঁদাবাজি এখনো আমরা অ্যাল্যাউ করি না। পরিবহন সেক্টরের নেতারা আমাদের কাছে একটি তালিকা দিয়ে দেন, কোন স্টেশনে কত টাকা সার্ভিস চার্জ দেবেন। এর বাইরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে বলা হয়। আমরা সেই তালিকায় প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমরা মনে করি তাদের সার্ভিস চার্জ নির্দিষ্ট স্থান থেকে নেওয়া হোক। নির্দিষ্ট স্থান থেকে না নেওয়ায় পুলিশ বিড়ম্বনার শিকার হয়। অনেকে মনে করেন চাঁদাবাজি হচ্ছে।
আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমাদের মূল কাজ হলো সড়ক নিরাপদ রাখা। মানুষের শরীরে যদি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তবে মানুষ বিকল হয়ে পড়বে। তেমনি সড়কে যদি পরিবহন ঠিকভাবে চলে, তাহলেই ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে। নৌপথে নিরাপত্তা জন্য তৈরি করা হয়েছে নৌ পুলিশ, হাইওয়ে নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশ তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমি মনে করি, সবাই যদি আইন মেনে চলে, তবে কাউকে আর জরিমানা দিতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা চাই অবৈধ কোনো যান যাতে মহাসড়কে না আসে। মহাসড়ক যাতে নিরাপদ থাকে, সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
মুন/চখ