chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঈদুল আজহার আগেই গুছিয়ে নিতে পারেন যেসব কাজ

আর কয়েকদিন পরই পালিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা। পবিত্র এই দিনটি কেটে যায় নানান রকম ব্যস্ততায়। কোরবানি ঈদের আগে গৃহিণীদের কাজ আরও বেড়ে যায়।

ঈদুল আজহার আগে অনেক কাজ আছে যেগুলো গুছিয়ে রাখতে হয়। তা না হলে ঈদের দিন পড়তে হয় বিপাকে। এটা সেটা হাতের কাছে না পেলে যেমন ঈদের দিন বিরক্ত হবেন, সেই সঙ্গে সময়ও নষ্ট হবে। তাই ঈদুল আজহার প্রস্তুতি নিন এখন থেকেই।

ঈদের বাজার: যেহেতু ঈদের বাকি আর মাত্র কয়দিন, তাই সময় বাঁচাতে এখনই করে রাখুন ঈদের বাজার। সেমাই-চিনি থেকে শুরু করে ঈদের দিন মিষ্টান্ন রান্নার জন্য যাবতীয় পদ তৈরির প্রয়োজনী উপকরণ কিনুন মনে করে।

রান্নার মসলা প্রস্তুত রাখুন: কোরবানির মাংস রাঁধতে প্রয়োজন হয় অনেক মসলার। পেঁয়াজ-রসুন-আদা বাটা থেকে শুরু করে গুঁড়া মসলা যেমন- হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনিয়া ও গরম মসলাসহ যাবতীয় নানা মসলা আগে থেকেই সংরক্ষণ করুন। আর যদি বিরিয়ানি রান্না করতে চান, সেক্ষেত্রে আরও কিছু মসলা আগের থেকেই গুছিয়ে রাখুন। চাইলে এখন থেকেই গুঁড়া মসলাগুলো প্রস্তুত করে কৌটায় ভরে রাখুন। আর বাটা ও কাটা মসলাগুলো জিপলক ব্যাগ বা কৌটায় ফ্রিজের ডিপে রেখে সংরক্ষণ করুন।

ফ্রিজ পরিষ্কার: এখন থেকেই ফ্রিজ পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখতে পারেন। প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলতে পারেন।

যন্ত্রপাতি গুছিয়ে নিন: কোরবানির পশু জবাই ও গোশত কাটার কাজটি সহজ করতে ছুরি, চাকু, দা, বটি, চাপাতির কোন বিকল্প নেই। কোরবানি পশুর মাংস বানানোর কাজে ব্যবহার হয় দা। সাধারণ দা এবং রামদা দুটোই কোরবানির জন্য় জরুরি। সাইজে ভিন্ন রকমও রয়েছে। দায়ের হাতল কাঠ বা লোহার তৈরি হয়। পছন্দ ও সুবিধামতো কিনে নিন। পশু কোরবানির জন্য ব্যবহার হয় চাপাতি। এছাড়াও গরুর চামড়া ছাড়াতে চাপাতি ব্যবহার করা হয়। বাজারের বিভিন্ন সাইজের চাপাতি পেয়ে যাবেন। কোরবানির পশুর মোটা হাড়কে টুকরো করতে কুড়াল ব্যবহার হয়। কুড়ালের পরিবর্তে দা দিয়েও কাজ সেরে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে ভারী দা ব্যবহার করতে হয়।

মাংস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে রাখুন: কোরবানির মাংস ঘরে আনার পর সব আলাদা করে ভাগ করে রাখুন। যেমন-সিনার মাংস, কলিজা, ভুড়ি, পায়ের মাংস, মগজ, ইত্যাদি ভাগ করে ফেলতে হবে। গরুর কলিজা ও মগজ ফ্রিজে না রাখাই ভালো। পারলে ঈদের দিনই রান্না করে খেয়ে নিন। ফ্রিজে রাখার আগে ভালো করে মাংস ধুয়ে রাখবেন। ফুড গ্রেডের প্লাস্টিকের ব্যাগেই মাংস রাখা উত্তম। এই প্যাকেটগুলো ঈদের আগেই যোগাড় করে রাখুন। যাতে প্রয়োজনের সময় খুঁজতে না হয়। মাংস ছোট ছোট করে প্যাকেট করে রাখুন। প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে কোন মাংস তা লিখে রাখুন। তাহলে খুঁজে বের করতে সহজ হবে। অবশ্যই কোরবানির মাংস ৪-৬ মাসের বেশি সংরক্ষণ করবেন না। তাহলে মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: কোরবানি দেওয়ার পর পশুর রক্তসহ বর্জ্য যেন ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয়, সে বিষয়ে নজর রাখুন। কোরবানির আবর্জনা এখানে-সেখানে ফেলে রাখলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ বের হবে। এর ফলে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিও বাড়বে। এ ছাড়াও কোরবানির পর মাংস ভাগ সময় শরীর, কাপড় ও ঘরের মেঝেতে রক্ত লেগে যেতে পারে। তাই কাজ করার আগে ফুল হাতা কাপড় পরুন এবং পাতলা গ্লাভস পরে নিন হাতে। যত দ্রুত সম্ভব সাবান দিয়ে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। মেঝে পরিষ্কার করতে গরম পানি, জীবাণুনাশক এবং ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা ভালো। সবার জন্যই কোরবানির ঈদ আনুক আনন্দের বার্তা। সুস্থতা, ভালোবাসা আর ত্যাগের মহিমায়।

মুহভ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর