বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মিডিয়া হাউস পরিদর্শন
স্বাধীন বাংলার প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী পরিদর্শন করেছেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা । শনিবার (১জুন) বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসির সিলমীর নেতৃত্বে ‘সংবাদ লিখন ও সম্পাদনা’ কোর্সের অংশ হিসেবে ৩য় থেকে ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে আজাদী’র মিলনায়তনে এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় অংশ নেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের ‘সংবাদপত্রের ইতিহাস ও সাংবাদিকতায় করণীয়’ বিষয়ে ধারণা দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এম এ মালেক বলেন, ‘সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে দৈনিক আজাদীর পথচলা। অনেক বিরল অর্জনের সাক্ষী ঐতিহাসিক এ দৈনিক। “জয় বাংলা, বাংলার জয়” এই জাতীয় স্লোগানটি প্রথম ব্যবহার করে দৈনিক আজাদী।’
‘সত্যনিষ্ঠ সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে পাঠকের আস্থা অর্জন করে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ভালো সাংবাদিক হওয়ার আগে ভালো মানুষ হতে হবে। আর পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তিই এনে দিবে সাফল্য। একইসাথে, সাংবাদিকতায় সোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর সাংবাদিকদের উচিত সোর্সের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসির সিলমী বলেন, ‘তাত্ত্বিক পড়াশোনার বাইরে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের জন্য গণমাধ্যম পরিদর্শনের বিকল্প নেই। এতে আগামীর সাংবাদিকরা নিজেদের যথাযথভাবে তৈরি করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ আমরা একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমন্বয় ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে বিশ্বাসী। তাই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিদর্শনে পাঠাই শিক্ষার্থীদের। যাতে তারা সমৃদ্ধ হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে।’ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা দৈনিক আজাদীর মত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে শিক্ষার্থীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে উল্লেখ করে তিনি এই আন্তরিক আয়োজনের জন্য আজাদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভা শেষে শিক্ষার্থীরা পত্রিকার বার্তা বিভাগ, সম্পাদকীয় বিভাগ, পৃষ্ঠা সজ্জা, সংবাদপত্র মুদ্রণ প্রক্রিয়া ইত্যাদি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এসময় সম্পাদক ও নিউজ ইনচার্জ শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয় হাতেকলমে বুঝিয়ে দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ, নিউজ ইনচার্জ দিবাকর ঘোষ, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক সরওয়ার কামাল, মো. নাঈম উদ্দিন ও তাসনুভা তাহসিন।
সবশেষে, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত পত্রিকার একটি করে সংখ্যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন।
চখ/ককন