chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

উত্তাল সাগরকেও হার মানালো বাহার মাঝি!

মহাবিপদ সংকেত উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্রে রবিবার (২৬ মে) দুপুরে সাঁতার কেটে মালিকের বোট রক্ষা করেন বাহার মাঝি নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দুঃসাহসিক কাজের কারণে বোট মালিক ফিরে পেল তলিয়ে যাওয়ার পথ থেকে তাঁর একমাত্র সম্বল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড় রিমেল তান্ডবের ভয়ে উপকূলের মানুষ যখন জানমাল ও প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত তখনও বাহাররা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থেকে যায় মিজান বহদ্দারের (মালিক) বোট পাহারায়।

উত্তাল সাগরকে হার মানালো বাহার মাঝি!

যেভাবে রক্ষা করে বোট :

পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে আকমল আলী ঘাট এলাকায় নোঙ্গর করে রাখা হয় সাগর ফেরত মাছ ধরা ট্রলারের লাইন। সেখান থেকে দড়ি ছিড়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার সাগরের মাঝখানে চলে যাচ্ছিল। তখনই সাঁতার কেটে উত্তাল ঢেউ পাড়ি দেয় বাহার মাঝি। এক পর্যায়ে তিনি বোটের নাগাল পেয়ে যায়। কূলে এনে আবার নোঙ্গর করে রাখে নিরাপদ স্থানে। তখন তাঁর দেখা যায় এক ঝলক আনন্দের হাসি।

জীবনের ঝুকি নেয়ার কারণ জানালেন:

বাহার মাঝির সাথে কথা হলে তিনি চট্টলার খবরকে বলেন, ভাই আমাদের গরিবের জীবন পানিতে গেলেই কি বাঁচলেও কি? মালিকের বোট পানিতে তলিয়ে গেলে আমাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোট রক্ষা করেছি। মাছের মৌসুমে এক মেয়ে এক ছেলের মুখে ভাত তুলে দিই এই বোটের মাধ্যমে। এটা আমার কাছে জীবনের চেয়েও দামী।

বোট মালিক সম্পর্কে বাহার মাঝি বলেন, তিনি দুই বছর ধরে চালায় বোটটি। বোটের মালিক মিজান বহদ্দার। মালিক অনেক ভাল মানুষ, আপদে-বিপদে সাহায্য করে। সবাইকে নিজের ভাইয়ের মত দেখে। আমি তাই জীবনবাজী রেখে সাঁতার দিয়ে বোট রক্ষা করার করেছি। কারন মালিকের ক্ষতি হলে তো আমার নিজের আরো বেশি হয়ে যাবে।

 

মুন/বিদ্যুৎ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর