“মায়ের কাছে সবসময় জিজ্ঞেস করতাম, কবে আসবে বাবা ?”
‘বাবা না আসায় সবসময় পুরো ঘরটা খালি মনে হতো। ঈদের সময় বাবাকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতাম, এবার ঈদে বাবা ছিলো না তাই কোথাও যাওয়া হয় নি। মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করতাম, কখন বাবা আসবে, কখন বাবাকে দেখতে পাব? । আজকে বাবাকে কাছে পেয়ে খুবই খুশি আমি, বাবাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছি অনেক বার। সামনে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা, পরীক্ষা শেষে বাবাকে নিয়ে বেড়াবো আর ঘুরবো।’
দুই মাস দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাবাকে কাছে পেয়ে এসব বলছিল এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়াশরা জাহাজ থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ছোট বোন উনাইজাকে নিয়ে বাবার কাছে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বাবাকে।
ইয়াশরা আরও বলেছে, ‘আমরা তিনবোনের মধ্যে দুইজন বাবাকে দেখতে এসেছি এবং আমার ছোট বোন বাসায়৷ তার দুই বছর বয়স।’
ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান বলেন, ‘বিভৎস দিন থেকে আলোর দিনে ফিরেছি। দূর্বিসহ সেই দিনগুলোর কথা আর মনে করে পুনরায় ওই জগতের ফিরে যেতে চাই না। একদিন মানসিক ভাবে যে ট্রমার মধ্যে ছিলাম সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমার আদরের দুই সন্তানকে কাছে পেলাম। বাসায় আরেক সন্তান কান্না করছে। তাঁর কাছেও ফিরতে হবে দ্রুত। এভাবে অক্ষত অবস্থায় আমার স্বজনদের কাছে আসতে পেরে অনুভূতিটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না’।