ক্রেতা সংকটে গরু বেপারিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ (ভিডিও সহ)
নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর কেনা-বেচা শুরু হলেও ক্রেতার সমাগম খুবই কম। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও বাজারে গরু-ছাগলের যতেষ্ট উপস্থিতি মিলছে । তবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বেপারিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। ক্রেতা সংকটে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আরও দুই-তিনদিন পর বাজার ক্রেতায় ভরপুর হবে এবং বিক্রি বাড়বে বলে আশা তাদের।
গেল বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে সাতটি বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি স্থায়ী ও চারটি অস্থায়ী বাজার।
ক্রেতা সংকটে হতাশ গরু বিক্রেতা
Posted by Chattolar Khabor on Sunday, July 26, 2020
নগরীর সবচেয়ে বড় সাগরিকা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সামিয়ানা ও ত্রিপল টানিয়ে সারিবদ্ধ খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সাইজের গরু। প্রতিবছরের মতো এবারও কুষ্টিয়া, নওগাঁও, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, মেহেরপুর থেকে গরু এসেছে।
ক্রেতারা গরু দেখাদেখি করলেও এখনো পুরোদমে গরু কেনা শুরু করেননি। তারা জানিয়েছেন, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু থাকলেও দাম এখনো কমেনি। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম হাকাঁচ্ছেন বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের।
সাগরিকা বাজারের ইজারাদাররা বলে, ৮ কোটি ২০ লাখ টাকায় হাটটি ইজারা নেওয়া হলেও বেচা বিক্রি কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা তাদের।
সাগরিকা পশুরহাটের পরিচালক মো. জামসেদ খান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি বাজার পরিচালনা করছি। মাস্ক ছাড়া কাউকে বাজারে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, হাটের ইজারা নেওয়ার পর থেকে করোনাভাইরাসে সারা বিশ্ব আতঙ্ক শুরু হয়। এরপর থেকৈ পশুরহাটে বেচা বিক্রি কমে যায়। কোরবানিতে চাহিদা মতো পশু বিক্রি না হলে লোকসানে থাকতে হবে।
জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানিতে চট্টগ্রাম জেলায় পশুর চাহিদা সাত লাখ ৩১ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় খামার আছে আট হাজারের মতো। সেখান থেকে আসবে ছয় লাখ ৮৯ হাজার ২২টি পশু।
এসব পশুর মধ্যে গরু চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭২টি, মহিষ ৫৭ হাজার ১৩১টি, ছাগল ও ভেড়া এক লাখ ৬৭ হাজার ২১০টি। অবশিষ্ট ৪১ হাজারের মত গরু দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে। নগরীর স্থায়ী-অস্থায়ী ছয় হাটের পাশাপাশি ১৪ উপজেলার আরও প্রায় শতাধিক হাট বসবে।
করোনার কারণে নির্দেশনা অনুযায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক, মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রতিটি পশুর বাজারে।
এসএএস/