চট্টগ্রামে ঈদকে ঘিরে দূরপালার লকর ঝকর বাস মেরামতের হিড়িক
ঈদে নারিড় টানে শহর ছেড়ে যাবে লাখো মানুষ।আর এই লক্ষে শহরের বিভিন্ন বাসের পাশা পাশি দূরপালার লকর ঝকর বাসের মেরামতের ব্যস্ত সময় পার করছে বদ্দার হাট বাসটারমিনালের ওয়ার্কশপে কর্মীরা। আসন মেরামত রঙের কাজসহ চলছে সাজসজ্জার কাজও ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে কোনোটির ভাঙা, বেঁকে যাওয়া অংশে জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। কোনোটিতে লাগানো হচ্ছে জানালার নতুন কাচ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসে বডি ঝালাইয়ে ব্যস্ত ছিলেন মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘পুরাতন পাত সরিয়ে বাসের নতুন বডি ঝালাই করা হছে ।এর পর রং করে ফিনিশ দেওয়া হবে।
বেশ কয়েকটি ওয়ার্কশপের শ্রমিকদের সাথে কথা জানা যায়,১০ থেকে ১৫ দিন আগ থেকে বাস গুলো এসেছে ।কাজ অনেকটা শেষের পথে। তাঁদের মধ্যে রংমিস্ত্রি মোঃ নিজাম ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে রং লাগাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বাসটি অন্তত ৫ থকে ৬ বছরের পুরোনো। আসন রয়েছে ৩৬টি। রং লাগানো ও মেরামতের কাজ করতে ১০ থেকে ১২ দিন লাগছে। রঙের পেছনেই খরচ হয়েছে ৪৩ হাজার টাকা।
আরো একটি ঈগল বাস রং করছিলেন তিন শ্রমিক। তাঁদের একজন বলেন, বাসটি ৪৮ আসনের; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচল করে। আসনগুলো মেরামত করা হয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তে রং করা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন থেকে সড়কে নেমে যাবে বাসটি।
ঈদ এলেই চট্টগ্রামের একেখান, অলংকার,নতুন ব্রিজসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এ রকম পুরোনো বাস চলাচল করে। রোজার শুরুতেই বাসগুলো মেরামতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। তবে যেসব বাসের ফিটনেস নেই, সেসব বাস সড়কে চলবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সহ চট্রগ্রামের বিভিন্ন জেলায় হাজার খানেক বাস চলাচল করে। কিছু বাসের ফিটনেস সনদ নেই, এটা সত্য। তবে প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, সাধারণত এক বছরের জন্য বাসের ফিটনেস সনদ দেওয়া হয়। সনদ বছর বছর নবায়ন করতে হয়। ফিটনেস সনদ ছাড়া কোনো যানবাহন সড়কে চলাচল করার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালিত হবে।
চখ/জুইম’