টিসিবির পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমি পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট। অন্তত এই পেঁয়াজ ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আনা-নেওয়ার বিষয়ে আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। পেঁয়াজ আনা, দরদাম ঠিক করা প্রত্যেকটা জিনিসই কিন্তু আমরা নিজেরা বসে করেছি। পেঁয়াজের দাম যদি হঠাৎ করে কমে যেত, সেটার কিন্তু একটা সম্ভাবনা ছিল। তারপরও আমরা ঝুঁকিটা নিয়েছি। এই ঝুঁকি সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই একই পেঁয়াজ ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে বিক্রি করছে। আমরা সেখানে ৮০০ ডলারে নিয়ে এসেছি। আমরা অনেক নেগোশিয়েট করেছি। কারণ তারা যে দাম ধরিয়ে দিয়েছিল সেই দামে আমরা ভর্তুকি দিয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে পারব না। আমাদের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব অনেক পরিশ্রম করেছেন। সঙ্গে ছিলেন টিসিবির টিম।
তিনি বলেন, এখন ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিশর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, দেশে পেঁয়াজের যে চাহিদা রয়েছে, সেই পরিমাণ উৎপাদন হয় না। কিছুটা ঘাটতি থাকে। যে কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করা হয়। এক্ষেত্রে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি আমাদের জন্য সুবিধাজনক। কারণ, ভারতের পেঁয়াজ আমাদের দেশি পেঁয়াজের কাছাকাছি এবং দামও কিছুটা কম। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশের বাজারে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং দামও সুবিধাজনক স্থানে ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নিজস্ব উদ্যোগে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারতের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে পেঁয়াজ আমদানি উদ্যোগ নেন। নেগোসিয়েশনে ভারতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির কথা দেয়৷ তারই প্রথম চালান হিসেবে গত পরশু ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সেটিই এখন টিসিবির ট্রাক সেলের মাধ্যমে উন্মুক্তভাবে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।
মুন/চখ