chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামের শুঁটকির কদর দেশে-বিদেশে

চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে শুঁটকি বিক্রির মহোৎসব চলছে। চট্টগ্রামে বাকলিয়া, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার শুঁটকি পল্লিতে আবারো শুঁটকি উৎপাদনের ধুম পড়েছে। দেশের বৃহত্তম শুঁটকির পাইকারি বাজারে এবার কয়েকশ’ কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রির আশা করছে ব্যবসায়ীরা। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় শুঁটকি উৎপাদন যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানিও চলে পুরো-দমে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শুঁটকি পল্লিতে অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত ১৫০ টির বেশি মহালে কাজ করবে ১০ হাজার শ্রমিক। চলবে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করণের কাজ। শুঁটকিকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় হাজার হাজার জেলে ও মৎস্যজীবীদের মুখরিত থাকবে শুটকি পল্লীগুলো।

ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া শুঁটকি উৎপাদন আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত চলবে। এ সময়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার শুঁটকি রফতানির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে কাজে ফিরেছেন বেকার হয়ে পড়া ৪৫ হাজারের অধিক শ্রমিক।

উৎপাদনের ফলে চট্টগ্রামের শুঁটকি দোকানগুলোতে ভরে উঠেছে নতুন শুঁটকি। প্রতিদিন শুঁটকি উৎপাদনকারীরা দোকানে দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের শুঁটকি। এতে উৎপাদনকারীদের মুখে অনেকটা হাসি ফুটেছে।

আজ সোমবার সকালে বাকলিয়ার বাস্তুহারা এলাকায় গড়ে ওঠা শুঁটকি মহালে গিয়ে দেখা যায় কয়েকশ শ্রমিক শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণে কাজ করছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ টুলার থেকে কাঁচামাছ কাঁধে করে মহালে নিয়ে আসছে, আবার অনেকেই মাচায় করে রোদে শুকাচ্ছে। এ ছাড়াও অনেকেই রফতানির জন্য বস্তা ভরে প্রস্তুত করে রাখছেন।

চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ীরা জানান, গত শীতের শুরু থেকে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামের শতাধিক মহালে (উটকি তৈরির কারখানা) রোদে বিপুল পরিমাণ মাছ শুঁটকি করা হচ্ছে। এর মধ্যে লইটা ও ছুরি শুঁটকি বেশি। গভীর সাগর থেকে জেলেরা মাছ ধরে এখানে বিক্রি করছেন।

কর্ণফুলীর রাঙ্গাদিয়া চরের শুঁটকি ব্যবসায়ী জাহিদ করিম বলেন, প্রতি সপ্তাহে তিনি কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে ৪০০ মণের বেশি শুঁটকি কিনে চট্টগ্রাম নগরের খাতুনগঞ্জে সরবরাহ দিচ্ছেন।

চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল জানান, বর্তমানে কোরাল, লাদ্যা, চাপা, কামিলা, হাঙর, রূপচাঁদা, পোপা, রাঙাচকি, মাইট্যা, কালো উদাসহ বিভিন্ন
প্রজাতির শুটকি মাছ তিনি বিক্রি করছেন।

চাক্তাই বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি রূপটানা ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা, সুরমা ৮০০ থেকে ১৫০০, কোরাল এক হাজার থেকে ১৮০০, পোপা ৪০০ থেকে ১২০০, চিংড়ি এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০, লইট্যা ৪৫০ থেকে ১০০, ছুরি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর