চট্টগ্রাম পুরাতন টেলিগ্রাম সড়ক জুড়েই ময়লার ভাগাড়
রাস্তাটি দুই লেইন বিশিষ্ট। কিন্তু সব সময় এর একটি লেন দিয়েই যানবাহন চলে। কারণ অপর লেইনটি ভাগাড় (ডাস্টবিন) হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে ! চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন টেলিগ্রাম সড়কের এমনই বেহাল দশা। এতে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ। যানবাহন চলাচলে হচ্ছে অসুবিধার সম্মুখীন।
ওই রাস্তায় দু’পাশে টিএন্ডটি অফিস, বন বিভাগের অফিস, সিনেমা প্যালেস, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস, জেলা স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর, মুসলিম ইন্সটিটিউট ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, এস আলম বাস কাউন্টার, মারছা বাস কাউন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ওই রাস্তার একটি লেইনে ময়লা-আবর্জনা স্তুুপ হয়ে পড়ে থাকে। এজন্য যানবাহনকে বাধ্য হয়ে অন্য লেইনটি দিয়েই চলাচল করতে হয়। এতে ওই সড়কে যানজট লেগেই থাকে।
চট্টগ্রাম মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারের মালিক সাংবাদিক আলমগীর নূর জানান, দুই বছর ধরে তিনি ওই রাস্তার এমনই বেহাল দশা দেখছেন। কয়েকদিন পর পর সিটি কপোরেশনের গাড়ি এসে ময়লা তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু দু-একদিনের মধ্যে রাস্তাটি আবারও আগের চেহারা ফিরে পায়। মাঝে মধ্যে আবর্জনা জমে উঁচু পাহাড়ের মত হয়ে যায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাটির সিনেমা প্যালেস অংশে ময়লা-আবর্জনা জমে টয়টম্বুর হয়ে আছে। আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাশের লেইন দিয়ে যাত্রীরা নাক চেপে যাতায়ত করছে। অসংখ্য কাক আবর্জনার স্তুুপের ওপর ওড়াওড়ি করছে। কিছু আবর্জনা পানিতে ভেসে সিনেমা প্যালেস মোড় পর্যন্ত এসে পড়েছে।
দক্ষিণ মুখী রাস্তাটির পূর্ব পাশে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখানে শিক্ষার্থী তানিয়া তুরিণ, আইরিন ও মিথিলা জানান, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্লাসে বসা দায়।
ওই সড়কে বেশ কিছু দোকান পাট রয়েছে। আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে ক্রেতা না থাকায় তাদের ব্যবসা লোকসানে পরিণত হয়েছে।
এসআলম বাস কাউন্টারের স্টাফরা জানান, রাস্তার ওপর ময়লার স্তুুপ করে পড়ে থাকায় একটি লেইন কখনো ব্যবহার হয় না। ফলে সড়কটিতে যানজট নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে।
হাজারী গলির ব্যবসায়ী রাজিব বলেন, গত দু’তিন সপ্তাহ আগে সিটি কপোরেশনের লোকজন এসে ওই রাস্তা পুরোটা পরিস্কার করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর রাস্তাটি আবারও নোংরা-আবর্জনায় ভর্তি হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, আশে পাশের ময়লা-আবর্জনা এনে এখানে ফেলা হয়। রাস্তার পাশে একটি ডাস্টবিন থাকলেও সেটি ছাড়িয়ে পুরো রাস্তায় সয়লাব হয়ে যায় ময়লা-আবর্জনা। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটি পরিস্কার করে চালু রাখার কার্যকর উদ্যোগ সিটি কপোরেশনের নেই। কয়েক দিন পর পর সিটি কপোরেশনের গাড়ি এসে আবর্জনা তুলে নিয়ে যায়। স্থায়ী ভাবে এটি পরিস্কার করার জন্য সিটি কপোরেশনকে বলা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন,‘ ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে রাস্তায় হাঁটা যায় না। বৃষ্টির সময় অবস্থা আরও খারাপ হয়। তখন রাস্তার অপর লেইনটিও আবর্জনায় ভরে যায়। কিন্তু কখনো এই আবর্জনা পুরোপুরি পরিস্কার করতে দেখিনি।
- ফখ|চখ