chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শাহাজালালকে অভাব জয়ের পথ দেখাল মাশরুম

জীবিকার জন্য দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌর সদরস্থ ভাঙ্গার পুল এলাকার মোঃ শাহাজালাল। দেশে ফিরে নানা অভাব অনটনে ছিলেন তিনি।  বরণ্য মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব শায়েখ সিরাজের মাশরুমে চাষ টিভিতে প্রতিবেদন দেখে মাশরুম চাষ করার উৎসাহ পান। শাহ জালালের এখন জীবন জীবিকার একমাত্র উৎস মাশরুম চাষ। এ কাজ করে মাসে তাঁর ৪০ হাজার টাকা আয় হয়।

২০০৮ সালে প্রবাস জীবনকে বিদাই জানিয়ে দেশে এসে তিন সন্তানের বোঝা না হয়ে উপজেলা কৃষি এগ্রিকালচার ইনিষ্টিটিউট থেকে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ নেন।

প্রশিক্ষনের পর হাজার দশেক টাকার পুজি দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। মাশরুমের উপর আরো উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকা সাভার মাশরুম ইনিষ্টিটিউট থেকে ২ মাসের প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর কৃষি এগ্রিকালচার ইনিষ্টিটিউট টেকনিশিয়ান হিসেবে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে টেকনিশিয়ানের কাজ ছেড়ে নিজের বসত বাড়িতে ৭’শ বর্গফুটের ঘর তৈরি করে পেশাদার ভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেন। জেনিন মাশরুম ফার্ম এন্ড ডেইরী নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।

বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে মুলধন ১০ লক্ষ টাকারও অধিক। এই মাশরুম থেকে শাহাজালাল প্রতিমাসে ৪০-৫০ হাজার টাকায় আয় করে থাকেন।

মাশরুম চাষে স্বাবলম্বী হওয়া শাহজালাল বলেন, প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর অল্পপুজিতে মাশরুম চাষ শুরু করি। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন সিকদার মহোদয়ের অনুপ্রেরণায় মাশরুম চাষকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। বর্তমানে মাশরুম চাষ একটি লাভজনক পেশা হিসেবে বিবেচিত।

পোলট্রি ব্যবসায় ঝুকি থাকলেও এই ব্যবসায়ে ঝুকি কম। অল্প পুজিতে বেশী লাভ।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার জানান, একসময় গ্রাম বাংলায় মাশরুম ব্যাঙের ছাতা হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে মাশরুম খাদ্য তালিকায় যুক্ত হয়েছে। পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ মাশরুম।

মাশরুম চাষে শাহাজালাল একজন সফল চাষী। ঝুঁকি কম থাকায় এটাকে হাটহাজারীতে বর্তমানে অনেকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে।

ফখ|চখ

এই বিভাগের আরও খবর