chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

৫ মাস পর সচল চমেক হাসপাতালের সিটি স্ক্যান

আর্থিং ক্যাবল’ চুরি যাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৪০ লাখের বেশি দামে কেনা সিটি স্ক্যানের নতুন টিউব জ্বলে গেছে। যার ফলে প্রায় ৫ মাস ধরে হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে সিটি স্ক্যান সেবা। অবশেষে সেই মেশিনটি সচল হলো।

সচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো শামীম আহসান বলেন , সিটি স্ক্যান সেবা বন্ধ ছিলো বেশ কিছুদিন। অবশেষে মেশিনটি সচল হলো। গতকাল প্রকৌশলীরা মেশিন সচলের কথা জানান। শীঘ্রই সেবা দেওয়া শুরু হবে।

এর আগে ২০২৩ সালে ৩ বার মেশিনটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমবার ছলতি বছরের ৬ জুন মেশিনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সে মাসের ২৩ জুন মেশিনটি সচল হয়। কিন্ত কয়েক দিন না যেতে ৪ আগষ্ট তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টানা ২ মাস বন্ধ মথাকার পর ৩০ সেপ্টেম্বর সচল হয়। কিন্ত এবার এক মাস না যেতেই ২৪ অক্টোবর ফের সেবা বন্ধ রয়েছে।

সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের সিটি স্ক্যানের আর্থিং কেবল চুরি হয়। মূলত সিটি স্ক্যান চালানোর জন্য নির্দিষ্ট করে বিদ্যুৎতের ভোলটেজ প্রয়োজন পড়ে। কিন্ত বিদ্যুৎতের একই রকম ভোল্টেজ সমানভাবে সবসময় পাওয়া যায় না। কখনো ভোল্টেজ কমে নতুবা বেশি। তাই আর্থিং কেবল দ্বারা যতটুকু ভোল্টেজ দরকার ঠিক তা রাখা হয়, বাকিটা মাটিতে প্রবাহিত হয়। অতিরিক্ত ভোল্টেজ সহনশীল নয়। আর্থিং কেবল চুরি হয়ে যাওয়ায় ভোল্টেজ বেড়ে গিয়ে সিটি স্ক্যানের টিউব জ্বলে গেছে।

হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগে দুই-আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিটি স্ক্যান সেবা চালু হয়। তবে সচলের এক মাস না পেরুতেই ফের অচল হয়ে পড়েছে। এবার মেশিনটির ‘ আর্থিং ক্যাবল’ চুরি যাওয়ায় টিউব নষ্ট হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের। । সিটি স্ব্যান সেবা বন্ধ হওয়ার পরই টিউবটি ঢাকা নেওয়া হয়। সেখানে প্রকৌশলীরা জানান টিউবটি একেবারে জ্বলে গেছে।

চমেক হাসপাতালে সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকায় বেসরকারী হাসপাতালে সকল রোগীদের ছুটতে হচ্ছে। রিপোর্টসহ ব্রেন সিটি স্ক্যানে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। এই সেবাটি রির্পোট ছাড়া এপিক হেলথ কেয়ারে ৪ হাজার টাকা, শেভরণে ৫ হাজার টাকা, পপুলারে ৩ হাজার ৫০০ টাকা , ম্যাক্স হাসপাতালে ৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং ন্যাশনাল হাসপাাতালে ৪ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। ফলে বাড়তি টাকা খরচ করে রোগীদের এই পরীক্ষাটি করতে হচ্ছে।

  • ফখ|নচ|চখ
এই বিভাগের আরও খবর