chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা থেকে ৩০ জলদস্যু গ্রেফতার

বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম অঞ্চলে মাছ ধরার ট্রলারে গণডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় দুটি ট্রলার। রোববার রাতে জলদস্যুদের অবস্থান শনাক্তের পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল) থেকে তাদের দীর্ঘপথ তাড়া করে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। পরে একে একে ৩০জনকে ধরা হয়।

র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, এ যাবৎকালে সাগরে র‌্যাব-৭ পরিচালিত অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- করিম (৩৩), মোঃ রুবেল (৩৩) মোঃ জফুর (৩৫), শফি আলম (৪০), আব্দুর রহিম (২৫), মোঃ শামীম (২১), মোঃ ইউসুফ (২৯), শাজাহান বেগম (৩৭), মোঃ সাহাব উদ্দিন (৩৫), মোঃ শওকত (৩৭),মোঃ ইসমাইল (২৬), দেলোয়ার ইসলাম (৪২), নুর মোহাম্মদ (১৭), আব্দুর রহিম সিকদার (৩৪), মোঃ মফিজুর রহমান (৩০), ফজল হক (৪০), পিতা- মৃত মোঃ শফি, সাং-দোয়াশি বাজার, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ১৭। মোঃ গিয়াস উদ্দিন (২৬), মোঃ কাছেদ (১৯), মোঃ আকিদ খান (৩৭), মোঃ দিদারুল ইসলাম (৩৩), মোঃ নাইম (১৯), মোঃ হারুন (৪৪), মোঃ ইয়াছিন(২৯), মোঃ খলিলুর রহমান (২৫), মোঃ ইকবাল হোসেন (২৪), মোহাম্মদ শাহেদ (২২), মোঃ হোসেন (২৭), মোঃ আলী হোসেন (২৪), আব্দুল মান্নান (৪০) ও মোঃ সোলায়মান (৩৮)।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২ টি ট্রলার, ৮টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র,৫টি কার্তুজসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান সরাঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, গ্রেফতারকৃতরা পুরো এক ও দুই সপ্তাহ বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি করে দাপিয়ে বেড়ায়। গডফাদারদের কাজ হলো অস্ত্র, গুলি এবং ট্রলারের যোগান দেয়া। বিভিন্ন নৌ,লঞ্চ, স্টীমার ঘাটে সোর্সের মাধ্যমে আইন শৃংখলা বাহিনী সাগরে অভিযানে যাচ্ছে কিনা তা তদারকি করে জলদস্যুরা উপকূলে আসার সময় তা অবগত করাসহ বোট মালিক এবং মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে ডাকাতির মাছ ও মালামাল বিক্রি করে। এছাড়াও জলদস্যুরা সাগরে গিয়ে ডাকাতি করে মাছ এবং মালামাল বিক্রয়ের টাকা ৪০ শতাংশ কথিত গডফাদারের, ২০ শতাংশ তেল খরচ এবং বাকী ৪০ শতাংশ ডাকাতি সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সদস্যদের মাঝে বন্টন করতো।
র‌্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের ৩টি সশস্ত্র ডাকাত চক্র (ভোলা, বরিশাল, কুতুবদিয়া এবং আনোয়ারা এলাকায়) একত্রিত হয়ে সাগরে বড় পরিসরে দস্যূতার পরিকল্পনা করছে। তাদের ১০-১২ দিনের মধ্যে প্রায় ১৫-২০ টি ট্রলারে ডাকাতি করার পরিকল্পনা ছিল। ডাকাতি শেষে লুটপাটকৃত মাছ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলের দিকে নিয়ে বিক্রি করা হতো। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি চৌকস আভিযানিক দল পতেঙ্গা হতে দক্ষিণ-পশ্চিমে গহীন সমুদ্রে তাদের গতিরোধের চেষ্টা করলে তারা র‌্যাবকে প্রতিহত করে এবং তাদের দিক পরিবর্তন করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌ-বন্দর এলাকার ১৫নং ঘাটের দিকে আসতে থাকে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা তাদের ২টি ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রলার থেকে অস্ত্র ও ডাকাতির মাছ এবং মালামালসহ ৩০ জনকে আটক করে।
ফখ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর