ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে প্রস্তুত পোশাক ব্যবসায়ীরা
ধিরে ধিরে বিদায় নিচ্ছে শীত। গাছের ঝরাপাতা আর আগুনরাঙা পলাশ জানান দিচ্ছে দুয়ারে ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্ত বরণে প্রস্তুত প্রকৃতি। রঙের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে সবার মনে। বসন্ত ভালোবাসা দিবস ছাড়া ও একুশে ফেব্রয়ারী উপলক্ষে পরিবার বন্ধুদের সাথে মিলিয়র পোশাকের সাজে রাঙাতে প্রস্তত নগরীর দোকান গুলো ।
পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে বাসন্তী রঙের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে প্রতি বছর। এ উৎসব রাঙিয়ে তুলতে করোনার সংকটের মধ্যেও প্রস্তুতির কমতি নেই ভালোবাসার আমেজে মাততে অপেক্ষায় থাকা মানুষদের ও ফ্যাশন হাউসগুলোর।
ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে এরই মধ্যে বৈচিত্র্যময় বাহারি পোশাক এনেছে রঙ,শৈল্পীক,বাঙালী আনা,দেশী দশের মত ফ্যাশন হাউসগুলো।
শৈল্পীক থেকে নারীরা বেশি কিনছেন কোটা, সিল্ক, হাফসিল্ক, কটন, সুতি ও কাতান শাড়ি। এসব শাড়িতে আছে চমৎকার সব হ্যান্ড পেইন্ট, হাতে সুতার কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট ও ব্লকের কারুকার্য। দাম ২ হাজার ২০০ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ছেলেদের জন্যদেশী দশ এনেছে হ্যান্ড পেইন্ট ও হাতে সুতার কাজ করা পাঞ্জাবি। রকম ভেদে এসব পাঞ্জাবির দাম ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা।
মেয়েশিশুদের জন্য বসন্তের শাড়ি ও টপসের দাম ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। আর ছোট ছেলেদের পাঞ্জাবি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
দেশি ফ্যাশন হাউসের মধ্যে অন্যতম নাম অঞ্জন’স। শুধু ফাল্গুন সামনে রেখেই তারা সাজিয়েছে বৈচিত্র্যময় পোশাক।
বসন্ত উপলক্ষে কটন, কাতান, হাফসিল্ক ও সুতি শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে অঞ্জন’স-এ। এসব শাড়িতে আছে হ্যান্ড পেইন্ট, হাতে সুতার কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট ও ব্লক প্রিন্ট। দাম শুরু ২ হাজার টাকা থেকে। শুধু বসন্ত উপলক্ষে হাতে সুতার কাজ করা বলাকা সিল্ক শাড়ি নিয়ে এসেছে মনে রেখো ক্লথস । সর্বোচ্চ দাম ১৮ হাজার ২০৫ টাকা।
এ ছাড়া ২ হাজার ৬০০ থেকে শুরু করে ৭ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে থ্রিপিস। হ্যান্ড পেইন্টের টপসের দাম ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ টাকা।
মেয়েশিশুদের জন্য রয়েছে ৮৩০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দামের টপস। অঞ্জন’স-এ ১ হাজার ২৫০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড়দের পাঞ্জাবি।
সানমার ওশিয়ান সিটির শৈল্পীক আউটলেটের ম্যানেজার বলেন, ‘বসন্তটাকে ধরে আমরা কাজ বেশি করেছি। আমাদের অন্য শোরুমে একটু কম হলেও এখানে বিক্রি মোটামুটি ভালো চলছে।’
শুধু তাঁতের শাড়িতে বসন্তকে সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউস ‘দেশাল’। ব্লকের কাজ করা এসব শাড়ির সর্বোচ্চ দাম ১ হাজার ২০০ টাকা। হ্যান্ড পেইন্ট ও হাতে সুতার কাজ করা তাঁতের শাড়িও রয়েছে দেশালে।
তাদের বসন্তের কামিজ সাড়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি চলছে।
অন্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম বলে জানালেন দেশী দশের ব্যবস্থাপক সবলেন, ‘এবার মানুষ কোনো উৎসব পালন করতে পারবে কি না জানি না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বেশি কিছু করিনি, শুধু শাড়িই বেশি রেখেছি।’
ব্যবসায়িদের আশা করছেন উৎসবের আগে বেচা বিক্রয় ভালো হবে।
চখ/জুইম