নিখোঁজ সেলিমের পথ চেয়ে আছে অবুঝ দুই শিশু ও অসহায় স্ত্রী
হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিপণন বিভাগের মেডিকেল প্রতিনিধি (এমআর) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ৯ জানুয়ারি বিকালে পাঁচলাইশ থানা এলাকায় উডল্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অবস্থান ছিল। পাশের একটি ঔষুধের দোকান থেকে তিনি ৪ হাজার ৯০০ টাকা নিয়েছেন ঔষুধ দিবেন বলে। এরপর থেকেই তিনি ‘হাওয়া’ হয়ে গেছেন।
পুলিশ বলছে, তাঁর মোবাইলের সিডিআর (কল ডিটেইলস রেকর্ড) পর্যালোচনায় সর্বশেষ তাঁর অবস্থান উডল্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে। এরপর থেকেই তাঁর মোবাইল বন্ধ রয়েছে।
গত ৮ দিন হলো মিলছে না তাঁর কোন সন্ধান। বাবাকে না পেয়ে তাঁর অবুঝ দুটি শিশুর কান্না থামাতে পারছেনা তাঁর অসহায় স্ত্রী হাফছা বেগম। তিনি ছোট ছোট সন্তান দুটি নিয়ে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন।
নিখোঁজ সেলিম উদ্দিন চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার কাপাসগোলা মকবুল সওদাগর লেইনের শরীফ বাড়ির মাহবুবুল আলমের ভাড়াটিয়া। গত ১০ জানুয়ারি নিখোঁজ সেলিমের স্ত্রী হাফছা বেগম পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। ডায়রি নম্বর ৬৬৮।
হাফছা বেগম জানান, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে মেডিকেল প্রমোশন অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন তাঁর স্বামী সেলিম উদ্দিন। তার মিনহাজ নামে ৭ বছরের ছেলে ও নিহার সুলতানা নামে ৩ বছরের মেয়ে রয়েছে।
তিনি জানান, ৯ জানুয়ারি বিকেলে ডাক্তার ভিজিটের জন্য বের হন সেলিম। এ সময় তাকে (স্ত্রী) বলেন, তিনি তাঁর অফিসের বস বেনজির আহমেদের সঙ্গে ডাক্তার ভিজিটে যাবেন। ওইদিন সারারাত বাসায় আসেননি। আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ নিয়ে সেলিমের কোন হদিস না পাওয়ায় পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি। পরে হেলথকেয়ারের লোকজন এসে বাসা থেকে তাঁর কাগজপত্র নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে কারো বিরোধ ছিল না। অফিসে নিষ্ঠাবান হিসেবে পরিচিত ছিল।
হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজার বেনজির আহমেদ বলেন, আমাদের একজন কলিগ নিখোঁজ রয়েছে। তার ব্যাগপত্র উডল্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে পাওয়া গেছে। তাকে সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক রূপন চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ সেলিমকে উদ্ধারে চেস্টা চলছে। তাঁর মোবাইল বন্ধ থাকায় তার অবস্থান নিশ্চিক হওয়া যাচ্ছে না। তবে যতটুকু জেনেছি তার কাছে বেশ কয়েকজন টাকা পাবেন। নিখোঁজ না আত্মগোপনে গেছে তা তদন্ত করে দেভা হচ্ছে।
ফখ|চখ