এই শিশুর চিকিৎসার জন্য হাত বাড়াবার কেউ কি আছেন?
ফুটফুটে সুন্দর শিশু নুরে জান্নাত । বয়স মাত্র সাড়ে ৫বছর। স্কুলের গণ্ডিতে ঢুকেছে মাত্র। নুরে জান্নাত ও তার ভাইকে নিয়ে সুখে থাকার কথা ছিল চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার ফটোর্জানালিস্ট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের। এক ছেলের পর জন্ম নেয়া শিশু নুরে জান্নতের মা-বাবার চোখে-মুখে অনাবিল আনন্দ এনে দিলেও সে আনন্দ এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। নুরে জান্নতকে হারানোর এক অজানা আশঙ্কায় জাহাঙ্গীরের এখন প্রতিটি দিন কাটে।
গত ১ মাস ধরে বিরল রোগ ‘জিবিএস’ এ আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ (আইসিইউ’) তে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। আদরের সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ করতে করতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন স্বল্প বেতনের চাকুরে পিতা জাহাঙ্গীর আলম টাকার জন্য তিনি দিশেহারা। প্রতিদিন মেয়ের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয় ৪ হাজার টাকা। ধার কর্জ করে এবং সঞ্চয়ে থাকা টাকা দিয়ে এ অবধি চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও তিনি আর পারছে না। এ পর্যন্ত দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যয়বহুল ডোজ। আরও দিতে হবে ১২ দিন ১৫টি ভাইরাস মুক্ত করার ডোজ। এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে আর ঋণ হয়েছে ১ লাখ টাকা।
চট্টলার খবরের এ প্রতিবেদককে তথ্য দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন জাহাঙ্গীর । একমাত্র মেয়ে কি তবে বাঁচবেনা?
ভাইরাস মুক্তির ডোজগুলো দিতে পারলে হয়তো এই শিশুটি বাঁচবে এমন আশাবাদ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের। এজন্যর লাগবে অন্তত ২ লাখ টাকা।
১৮ কোটি মানুষের এই দেশে সবার একটু হাত প্রসার বাঁচিয়ে তুলতে পারে একটি সম্ভাবনাময় জীবন। রক্ষা করতে পারে একটি বংশ প্রদীপ। মুখে হাসি এনে দিতে পারে একজোড়া শংকাগ্রস্ত পিতামাতাকে। বিত্তবান, বিত্তহীন কোন বিষয় নয় মানবিক একটি দৃষ্টিভঙ্গিই যথেষ্ট।
যারা আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী তারা জাহাঙ্গীর আলমের ০১৬৪২৭২৭৫৫৫ নম্বর মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে দিতে পারেন তাদের আবেগভরা ২টি কড়ি।
ফখ|চথ