মনে হচ্ছে ন্যূনতম সন্তুষ্টি নিয়ে যেতে পারছি: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে ইনশাআল্লাহ যেতে পারছি।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ক কর্মশালায়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি। এটা এই মেয়াদের শেষ সময়। আগামীটা আগামীতে দেখা যাবে, আল্লাহ কী রাখছেন। তবে মনে হচ্ছে, স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে ইনশাআল্লাহ যেতে পারছি। আমার মধ্যে সবসময় একটা ভীতি কাজ করতো…, একটা কথা আছে- শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমার জায়গা থেকে মনে হচ্ছে, একটা জাতিকে যতটুকু পেরেছি (সেবা দিয়েছি), সেটা বিবেচনা করবে জাতি।’
আরেকটু সময় পেলে কাজ গোছাতে পারতেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা কাজের প্রতি মনোযোগী, কাজ করতে বেশি আগ্রহী, তাদের মধ্যে সবসময় একটা জিনিস থেকে যায়- আরেকটু সময় পেলে যদি আর একটু কাজ করতে পারতাম এই সময়টা পেলে নিশ্চয়ই আমি কাজ আরও গোছাতে পারতাম। আমার পাঁচ বছরটা আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়। এটা সবসময় আমার মাথায় রেখেছিলাম বলে একটা স্যাটিসফেকশনের জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি।’
মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি। এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলোকে যেন ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা শেপে (কাঠামো) নিয়ে এসেছি।’
‘ভূমি উন্নয়ন কর যেটা ম্যানুয়ালি ছিল, সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ পাঁচ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’
শেষ সময়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা মার্জিনাল সময়ে পড়েছিলাম যে, এটা না হওয়ার আশঙ্কা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য এটা আমি করতে পেরেছি। একটা আইন পাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত অধীর আগ্রহে আইনটির অপেক্ষা করছিল। আমি স্যাটিসফাইড যে আইনটি করে যেতে পেরেছি।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ডট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কী পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ডট্যাক্স এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।’
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে, আরও কাজ বাকি আছে।’
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ একটা ট্র্যাকে আমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। এখন এটা স্পিডআপ করতে হবে। কিছু কাজ বাকি আছে আমার মনে হয়। এটাই এক মাসের মধ্যে মোটামুটি একটা শেপে (কাঠামো) চলে আসবে। শতভাগ স্যাটিসফাইড না হলেও মোটামুটি একটা জায়গায় আমরা দাঁড় করিয়েছি।’
এসময় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
চখ/জুইম