chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে হরতালের অজুহাতে চাল ডালের দামে সিন্ডিকেটের কারসাজি

অবরোধ ও হরতালের দোহাই দিয়ে সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চাল-ডাল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। প্রতিদিন বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব পণ্যের দাম। অথচ খাতুনগঞ্জ ও আসাদগঞ্জের আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান চাল, ডাল ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য মজুত রয়েছে। 

চট্টগ্রাম নগরের চালের আড়তগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। আর পাইকারিতে ধরন ভেদে ডালের দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে কেজিতে ২থেকে ৪ টাকা।

চালের আড়তদারেরা বলছেন, বিভিন্ন জেলা থেকে চাল পরিবহনে ট্রাকপ্রতি খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেড়েছে। ফলে চালের দামেও তার প্রভাব পড়েছে। দেড় সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়তি।

চট্টগ্রাম নগরে পাইকারি চালের আড়ত চাক্তাই ও পাহাড়তলী বাজার। আজ রবিবার এই দুই বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসের শুরুতে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা মোটা চাল ২ হাজার টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছিল। আর এখন দাম বেড়ে প্রতি বস্তা চাল ২ হাজার ২০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। মাসের শুরুতে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। এ ছাড়া মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৮, নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৬৫, স্বর্ণা ৫২ থেকে ৫৪ ও গুটি সেদ্ধ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। নগরের ঝাউতলা, দেওয়ানহাট, চকবাজার, বহদ্দারহাটসহ আশপাশের খুচরা দোকানেও প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা।

বগুড়া থেকে চট্টগ্রামে  চাল নিয়ে আসা ট্রাকচালক সবুজ মিয়া  জানান, অবরোধের কারণে অনেক ট্রাক আসতে চায় না। ঝুঁকি নিয়ে কয়েকজন চট্টগ্রামে আসছেন। তাই ভাড়া কিছুটা বেশি।

চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, মাসের শুরুতে দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাও কমেছে অনেক। পণ্যের সরবরাহও কম।

চালের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বাজারে বাড়তি ডালের দামও। নগরের ডালের আড়ত চাক্তাই এলাকায় নভেম্বর মাসের শুরুতে ছোট মুগ ডাল বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১২২ টাকায়। আজ বিক্রি হয় ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায়। ডালের ধরন ভেদে দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। বৃহস্পতিবার আমদানি করা মসুর ১২৬ থেকে ১৩০, দেশি মসুর ১৩০ থেকে ১৩৫, মাষকলাই ১৪০ থেকে ১৪৫ ও খেসারি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চালের পাশাপাশি ডালের বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে।

 

চখ/জুইম/ফখ

এই বিভাগের আরও খবর