chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুগে চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে। নগরীর পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে খুলশী থানার টাইগারপাস পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের আজ উদ্বোধনের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে যোগাযোগের নতুন এই দিগন্ত।

এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দেড় থেকে দুই ঘণ্টার সড়কপথ অতিক্রম করা যাবে মাত্র ২০ মিনিটে।

চট্টগ্রাম শহরের যানজট নিরসনসহ ভ্রমণে সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এই উড়াল সড়ক তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ফলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই অবকাঠামো যানজটের শহর চট্টগ্রামে যাতায়াতে যানজট কমাবে, সময় বাঁচাবে, ভোগান্তি কমবে, স্বস্তি মিলবে।

এলিভেটড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান চট্টলার খবরকে জানান, নগরের পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অবশ্য ২০১৭ সালে অনুমোদনের সময় প্রকল্প ব্যয় ছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। অনুমোদনের প্রায় দুই বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
তিনি জানান, এখন প্রাথমিকভাবে পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত অংশ চালু হবে। আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার জন্য ১৪টি র‍্যাম্প থাকার কথা থাকলেও তা এখনই চালু হচ্ছে না। সম্প্রতি এগুলোর জন্য দরপত্র দেওয়া হয়েছে। টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত অংশের কাজ বাকি রয়েছে। অর্থাৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি সুফল এখনই পাওয়া যাবে না।  মূলত চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াত দ্রুত ও নির্বিঘ্ন করার জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন , উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে না। পুরো কাজ শেষ হতে আর কিছু দিন সময় লাগবে। পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

এদিকে র‍্যাম্প ছাড়া উদ্বোধন হলেও চট্টগ্রাম নগরী থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর অথবা পতেঙ্গা পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা। এছাড়া বঙ্গবন্ধু টানেলের ভেতর দিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহন সমূহও এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবে। তবে, র‍্যাম্প চালু না হওয়ায় নগরীর টাইগারপাস থেকে থেকে যাত্রা শুরু করে পতেঙ্গার আগে শহরের অন্য কোনো প্রান্তে যানবাহন উঠা-নামা করতে পারবে না।

চখ/ফখ

এই বিভাগের আরও খবর