chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কর্মক্ষেত্রে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি

কর্মজীবীদের সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় কর্মক্ষেত্রে। বস সহকর্মী সহযোগী প্রতিযোগী অধস্তন অভ্যাগত সেবাপ্রার্থী পরিচিত অপরিচিতÑবহু মানুষের সাথে প্রতিদিন আলাপ-আলোচনা ও লেনদেন করতে হয়। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, সুন্দর আচরণ, কুশলী ও হৃদ্যতাপূর্ণ সংযোগায়নের ওপরই নির্ভর করে আপনার কর্মজীবনের সাফল্য। আর অঢেল অর্থ উপার্জন বা অন্যকে ডিঙিয়ে সামনে এগোনোই ক্যারিয়ারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়; বরং মেধাকে সেবায় রূপান্তরিত করে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাওয়াই হোক আপনার কর্মজীবনের ব্রত। এ পর্বে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে সার্বিকভাবে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা।স্থাননকালপাত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তরিকভাবে এ নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন। কর্মক্ষেত্রে আপনি হয়ে উঠবেন নির্ভরযোগ্য ও সফল।

সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি
১.প্রতিষ্ঠানে নিজের কাজকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করুন।

২. দায়িত্ব নিতে শিখুন। কাজকে ভালবাসুন।
কাজের সুযোগ পেলে মন থেকে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

৩.আপনাকে কাজ দেয়া হলে যদি আপনি বিরক্ত হন, তাহলে
এমন সময় আসবে, যখন কাজ আর আপনার কাছে আসবে না।
কাজকে যে ভালবাসে, কাজ তার কাছেই আসে।

৪.কর্মক্ষেত্রে কখনো বিরক্তি, বিরসভাব ও হতাশ চেহারায় থাকবেন না।
বিরক্তিভাব কাজের বরকত নষ্ট করে দেয়। যত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জই
আসুক ইতিবাচক ও হাসিখুশি থাকুন।

৫.পেশাগত সাফল্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে অপরিহার্য নয়,
সহায়ক মনে করুন।

৬.কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে পূর্বতন কর্ম¯’ল সম্পর্কে
নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।

৭.উপার্জনের উৎস সৎ ও শ্রমলব্ধ হলে কোনো কাজকেই হেয় মনে করবেন না।

৮.বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভাবতেই ব্যস্ত থাকবেন না।
কাজ ফেলে রেখে এ নিয়ে সহকর্মীদের সাথে সমালোচনা-পর্যালোচনা
করবেন না। নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। বর্তমান প্রতিষ্ঠান আপনার
মূল্যায়ন করতে না পারলেও প্রাকৃতিকভাবে আপনি পুরস্কৃত হবেনই।

প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিভঙ্গি
১.
প্রতিষ্ঠানে নিজের কাজকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করুন।
২.
দায়িত্ব নিতে শিখুন। কাজকে ভালবাসুন।
কাজের সুযোগ পেলে মন থেকে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
৩.
আপনাকে কাজ দেয়া হলে যদি আপনি বিরক্ত হন, তাহলে
এমন সময় আসবে, যখন কাজ আর আপনার কাছে আসবে না।
কাজকে যে ভালবাসে, কাজ তার কাছেই আসে।
৪.
কর্মক্ষেত্রে কখনো বিরক্তি, বিরসভাব ও হতাশ চেহারায় থাকবেন না।
বিরক্তিভাব কাজের বরকত নষ্ট করে দেয়। যত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জই
আসুক ইতিবাচক ও হাসিখুশি থাকুন।
৫.
পেশাগত সাফল্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে অপরিহার্য নয়,
সহায়ক মনে করুন।
৬.
কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে পূর্বতন কর্ম¯’ল সম্পর্কে
নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।
৭.
উপার্জনের উৎস সৎ ও শ্রমলব্ধ হলে কোনো কাজকেই হেয় মনে করবেন না।
৮.
বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভাবতেই ব্যস্ত থাকবেন না।
কাজ ফেলে রেখে এ নিয়ে সহকর্মীদের সাথে সমালোচনা-পর্যালোচনা
করবেন না। নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। বর্তমান প্রতিষ্ঠান আপনার
মূল্যায়ন করতে না পারলেও প্রাকৃতিকভাবে আপনি পুরস্কৃত হবেনই।কেরানি মানসিকতায় ভুগবেন না। ব্যব¯’াপকীয় দৃষ্টিভঙ্গি লালন করুন।
১০.
যথাযথ প্রয়াস না চালিয়ে ‘কাজ হয়ে যাবে, সমস্যা নেই’Ñ এ ধরনের বাক্য ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করুন।
১১.
মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আপনার কাজে কোনো ধরনের ভুল হলে
গোপন করবেন না। আপনি বুঝতে পারার সাথে সাথেই পদ¯’কে জানান।
এতে ভুল সংশোধনের জন্যে পদক্ষেপ নেয়া সহজ হবে।
১২.
অন্যের ব্যর্থতাকে নয়, সাফল্যকে অনুসরণ করুন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহিতার মুখে
অন্য সহকর্মীর উদাহরণ দেবেন না যে,
‘এই ভুল তো অন্যেরাও করে, শুধু আমাকে বলছেন কেন?’
১৩.
অল্প সময়ে এত কাজ কীভাবে করবÑএ মানসিকতা পরিহার করুন।
অপর্যাপ্ত সময়কে প্রতিবন্ধক মনে করবেন না।
সময়কে সুপরিকল্পিতভাবে কাজে লাগান। এটিই সাফল্যের অন্যতম সূত্র।
১৪.
নিজ প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে নিজের কাজ ও আমানত মনে করুন।
১৫.
উপরি আয়/ বাড়তি সুবিধা পেতে
অন্যায়ভাবে ফাইল/ বিল বা কাজ আটকে রাখবেন না।
নৈতিক মানদÐে সৎ থাকলে প্রাকৃতিকভাবে আপনি পুরস্কৃত হবেন।
মনে রাখুন, নিজের কাজ সবচেয়ে ভালোভাবে করাই প্রকৃত দেশপ্রেম।

 

 

কর্মকৌশল
১.
নিজের ডেস্ক এবং ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার-পরি”ছন্ন ও
গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করুন।
২.
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বোত্তমভাবে সম্পন্ন করতে হবেÑ এ মনোভাব নিয়ে কাজ করুন। অহেতুক কাজ জমিয়ে রাখলে তা
একসঙ্গে করতে গিয়ে আপনাকেই হিমশিম খেতে হবে।
৩.
কাজ অনেক কিš‘ সময় কম, এমন হলে কাজগুলোকে
‘জরুরি’ ও ‘গুরুত্বপূর্ণ’Ñদুটি তালিকায় আলাদা করুন। জরুরি কাজ
আগে শেষ করুন। তারপর গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নিয়ে ভাবুন।
৪.
কোনো কাজ না জানলে সেটা সহজভাবে স্বীকার করুন। কীভাবে কাজটি
করতে হবে তা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে নিঃসংকোচে জেনে নিন।
৫.
যে প্রতিষ্ঠানে বা ডিপার্টমেন্টে কাজ করছেন
তার হালনাগাদ তথ্যসমূহ জেনে নিন।
৬.
কোনো কাজ করতে ব্যর্থ হলে অজুহাত দেবেন না। নিজের ভুল বা
অক্ষমতা স্বীকার করে নিন এবং তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করুন।
৭.
নিজের মধ্যে দীর্ঘসূত্রিতা ও কাজে অবহেলা অনুভব করলে প্রয়োজনে
কর্মপ্রেমী ও নির্ভরযোগ্য কারো পরামর্শ নিন। নতুন উদ্যমে শুরু করুন।
৮.
প্রশান্ত মনে, ঠান্ডা মাথায় সম্ভাব্য সবদিক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিন।
প্রয়োজনে নিরিবিলিতে কিছুক্ষণ ধ্যান/ মেডিটেশন করুন।

৯.
জরুরি এসাইনমেন্ট ও হাতের কাজ শেষ করে অফিস ত্যাগ করুন।
কোনো কাজ অর্ধসমাপ্ত অব¯’ায় রেখে যেতে হলে পরদিন
প্রথম সুযোগেই তা নিয়ে বসুন।
১০.
যোগাযোগ রাখুন, সংযোগায়ন করুন।
সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ/ উপদেশ এবং
সহকর্মীদের পরামর্শ আপনার কাজকে সমৃদ্ধ করবে।
১১.
ভাষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করুন।
মাতৃভাষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দুয়েকটি ভাষাও আয়ত্ত করুন।
১২.
টিমওয়ার্কে আপনি প্রধান হলে টিম মেম্বারদের অবদানকে তুলে ধরুন এবং
তাদেরকেও সাফল্যের অংশীদার করুন।
১৩.
টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজে দলের অংশ হিসেবে কাজ করুন।
এজন্যে দলের অন্য সদস্যদের চিন্তা, ধ্যানধারণার নেতিবাচক বিষয়গুলোকে
পাশ কাটিয়ে কাজের লক্ষ্য নিয়ে ভাবুন এবং সেভাবে কাজ করুন।
১৪.
টিমওয়ার্কের ক্ষেত্রে ‘এটা তো আমি করি নি’ বা ‘আমার করার কথা নয়’Ñ এ ধরনের কথা বলে দায় এড়াবেন না।
১৫.
টিমওয়ার্কে শুধু নিজের ভালোলাগাকেই প্রাধান্য দেয়া/
‘আমি বুঝতে পারছি কিš‘ আর কেউ বুঝছে না’Ñ এমন চিন্তাভাবনাকে প্রশ্রয় দেবেন না।
১৬.
চাকরি এবং ব্যবসা একসাথে করতে যাবেন না।
নিজের সমস্ত মেধা শ্রম সময় ও মনোযোগ ঢেলে দিন
যে-কোনো একটি পেশায়।

১৭.
পেশা ও পরিবারের মধ্যে সুসমন্বয় করুন।
কোনো একটির প্রতি অবহেলা আপনাকে অনেক পিছিয়ে দেবে।
১৮.
অফিসকে বাসায় বা বাসাকে অফিসে নিয়ে আসবেন না।
পেশাগত বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা ও সমস্যা
একটি যেন অপরটির শান্তিকে বিঘিœত না করে।

সূত্রঃকোয়ান্টাম