অর্থনীতির গেমচেঞ্জার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর
বঙ্গোপসাগরের তীরে কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপ। এ অঞ্চলটি ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চীন-জাপানের জন্য কৌশলগত গুরুত্ব সর্বোচ্চ। মহেশখালী ঘিরে যে কর্মযজ্ঞ তার সুবিধা পাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত দক্ষিণ-পূর্বের সাত রাজ্য। ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-চীন এই প্রতিযোগী দুই দেশকে হাতে রেখে জাপানকে দিয়ে গভীর বন্দর নির্মাণ সরকারের কূটনৈতিক বিজয়। বলা হচ্ছে, মহেশখালীই আগামীর অর্থনীতির গেমচেঞ্জার।
উদ্বোধন হচ্ছে জ্বালানির হাব
আগামীর জ্বালানির হাবখ্যাত মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে ইতোমধ্যে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আজ উদ্বোধনের পর দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন। বর্তমানে আমরা প্রথম ইউনিটের ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দিচ্ছি। আমাদের প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে গত ২৯ জুলাই। সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম ইউনিটে একসঙ্গে ৬১৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করা হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লিতেও আগুন দেওয়া হয়েছে গত ২২ সেপ্টেম্বর। ওই ইউনিট থেকে এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি।”
তথ্য অনুয়ায়ী, সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাপানের সহায়তার মোট প্রায় ৫১ হাজার ৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অন্যতম। পুরো প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা ৪৩,৯২১ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ৭,৯৩৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও সিপিজিসিবিএল-এর নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য তৈরি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলও চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চ্যানেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন।
বন্দর ব্যবহারে সুযোগ পাবে ভারত-চীন
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে যৌথ অংশীদার হতে না পারলেও সেই মাতারবাড়ি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও চীন। এই দুই দেশের প্রতিযোগিতার কারণে দীর্ঘদিন গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত জাপানের অর্থায়নেই হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকার এই বন্দর। আর প্রতিযোগী দুই দেশকে হাতে রেখে তৃতীয় একটি দেশকে দিয়ে বন্দর নির্মাণের কৌশলকে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, ‘এই নির্মাণকাজের ভিত্তি স্থাপন করলে হয়তো সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হবে এবং তখন এটি পূর্ণাঙ্গ অপারেশনের চলে যাবে। এটির মাধ্যমে শুধু যে বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবেন, তা কিন্তু নয়। বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং চীনসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ সরাসরি এই বন্দরের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।’
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের সাবেক প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর আলম বলেন, ‘‘প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক দিক মূল্যায়নের পর ভারত, চীন ও নেদারল্যান্ডসকে পেছনে ফেলে এ প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে জাপান।’’
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকার ঋণসহায়তা ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বাকি অর্থ বন্দরের নিজস্ব তহবিল ও সরকার অর্থায়ন।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় একটি পণ্যের চালান পাঠাতে সময় লাগে ৪৫ দিন। মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে মাত্র ২৩ দিনেই সরাসরি নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের প্রস্তুতি পরিদশন শেষে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “গভীর সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন। যা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।”
প্রকল্প প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকল্পের অধীনে একটি ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ, একটি ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জাহাজ বার্থিং জেটি, ৩৫০ মিটার চওড়া এবং ১৬ মিটার গভীরতার ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল নির্মাণ, উত্তর দিকে ২ হাজার ১৫০ মিটার এবং দক্ষিণ দিকে ৬৭০ মিটার লম্বা ঢেউ নিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হেবে। এ ছাড়াও তিনটি টাগবোট, একটি পাইলট বোট, একটি সার্ভে বোটসহ কার্গো হ্যান্ডেলিং ইক্যুইপমেন্ট টিওএস অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেম ক্রয় করা হবে। এ ছাড়াও জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।
১২৩ জাহাজ ভিড়িয়ে আয় সাড়ে ১৫ কোটি
২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো খনন করা চ্যানেল দিয়ে প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি বহনকারী বিদেশি মাতারবাড়ি জেটিতে জাহাজ পৌঁছায়। দ্বিতীয়টি আসে পরের বছরের ১৫ জুলাই। এখন পর্যন্ত ১২৩টি জাহাজ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য সামগ্রী এনেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল এবং কয়লা নিয়ে এ পর্যন্ত মাতারবাড়ি জেটিতে এসেছে ১২৩টি জাহাজ। জাহাজ ভিড়িয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এসব জাহাজকে পাইলটেজ সেবা, টাগবোট সাপোর্ট, রেডিও কন্ট্রোল ও ভিটিএমআইএস (ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম), আইএসপিএস (ইন্টারন্যাশনাল শিপ এন্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি কোড) আর স্টিভডোরিং সেবা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
নির্মাণ হচ্ছে সড়ক, যোগ হবে রেল
মাতারবাড়ির উন্নয়ন কমকান্ডকে গিরে সড়কপথে যাতায়াত সহজ করার জন্য চকরিয়ার ফাসিয়াখালী থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ২৭ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে মাতারবাড়ি বন্দর থেকে ধলঘাটা গোলচত্বর পর্যন্ত সোয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া ধলঘাটা থেকে ফাসিয়াখালী পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের জন্য ২ লেনের ২৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। যা ভবিষ্যতে চার লেনের মহাসড়কে উন্নীত করা হবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)’র কর্মকর্তারা জানান। এছাড়া বন্দরের সুবিধার্থে রেল যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এসপিএমে বাঁচবে ৮০০ কোটি
বর্তমানে দেশে তেল রিজার্ভ ক্ষমতা রয়েছে সোয়া দুই মাসের। এসমপিএম প্রকল্প চালুর মধ্যদিয়ে আরো ১৫ দিনের সক্ষমতা বেড়ে আড়াই মাসে উন্নীত হবে। অন্যদিকে ১১ দিনের পরিবর্তে ২৮ থেকে ৪৮ ঘন্টায় তেল খালাস করা হলে বছরে সরকারের বাঁচবে ৮০০ কোটি টাকা।
জ্বালানি বিভাগের তথ্য বলছে, দেশের একমাত্র রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি বছরে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধন করতে পারে। এসপিএম প্রকল্প প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ইউনিট। এটি চালু হলে পরিশোধন ক্ষমতা ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। এরই মধ্য দিয়ে জ্বালানি ব্যবস্থাপনার নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।
প্রকল্পের মূল কাজের অংশ হিসেবে ১৪৬ কিলোমিটার অফশোরে ও ৭৪ কিলোমিটার অনশোরসহ মোট ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের হয়েছে। সমুদ্রের তলদেশের এই পাইপলাইনের মাধ্যমে কালারমারছড়ার সোনারপাড়ায় স্থাপন করা শোর ট্যাংকে নেয়া হবে এই আমদানি করা তেল।
এ প্রকল্পের শুরুতে ১৯১ একর ভুমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। পরবতীতে সেটি ৯০ একরে নেমে আসে। সেখানে তিনটি পরিশোধিত ও তিনটি অপরিশোধিত তেলের স্টোরেজ ট্যাংকসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। স্টোরেজ ট্যাংকগুলোতে আমদানি করা তেল মজুদ রাখা হবে। প্রতিটি পরিশোধিত স্টোরেজ ট্যাংকারের ধারন ক্ষমতা ৬০ হাজার ঘনমিটার ও অপরিশোধিত স্টোরেজ ট্যাংকারের ধারন ক্ষমতা ৩৫ হাজার ঘনমিটার।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জি টু জি ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এসপিএম প্রকল্প। এতে বৈদেশিক সহায়তা দিচ্ছে চায়না এক্সিম ব্যাংক। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা।
বন্দর ঘিরে চার অথনৈতিক অঞ্চল
মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ নামের অথনৈতিক অঞ্চলটিতেই মোট জমির পরিমাণ ১ হাজার ২৪০ একর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৭০ একর জমি। কাজও চলছে পুরোদমে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা এগিয়ে নিতে সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগের জন্য প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছিল অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
সব প্রক্রিয়া শেষে গত বৃহস্পতিবার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটি অনুমোদন দেন।
সংশ্লিরা বলছেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ করা এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ১৫ কিলোমিটারের গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন, ইনডোর সাব স্টেশন স্থাপন, একটি ইটিপি নির্মাণ, ৬ তলা ভিত্তির ওপর দুই হাজার ১৫ বর্গফুটের চার তলা অফিস ভবন তৈরি, অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরে ৬ কিলোমিটারের রাস্তা নির্মাণ, সাড়ে ১২ কিলোমিটারের ফুটপাত নির্মাণ, পয়:নিষ্কাশনের ২৭ কিলোমিটারের সুয়ারেজ নেটওয়ার্ক তৈরি করা ।
বেজার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধলঘাটায় মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ২০০ একর। এ অঞ্চলটিতে এসপিসিএলকে ৪১০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে এলপিজি টার্মিনাল ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প স্থাপন করবে। টিকে গ্রুপের সামুদা পেট্রোকেমিক্যালকে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০০ একর। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৯ কোটি ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ। আবার থাইল্যান্ডভিত্তিক প্যাসিফিক গ্যাস বিডি লিমিটেডকেও জমি দেয়া হয়েছে ৬০ একর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজ গুলো শেষ হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ভাগ্য বদলাবে এখানকার মানুষের। মহেশখালী হবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম এক চালিকাশক্তি। সম্ভাবনাকে অস্বীকার করছেন না এখানকার সাধারণ মানুষেরাও। তারাও মনে করেন, সময়ের পরিবর্তনে লবণ উৎপাদন আর মাছ শিকার বাদ দিয়ে সামিল হতে চান উন্নয়নের এই বিপ্লবে।
চখ/ফখ