chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কাপ্তাই হ্রদে ২ মাসে ধরা হলো ৩৯১০ টন মাছ

কাপ্তাই হ্রদে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৩ হাজার ৯১০ টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাজস্ব পেয়েছে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

প্রায় ৬৮ হাজার ৮০০ হেক্টর আয়তনের জলাধার কাপ্তাই হ্রদ এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্বাদু পানিতে মাছ চাষের বৃহৎ ক্ষেত্র। মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এ হ্রদের সৃষ্টি হলেও এটি এখন মাছ উৎপাদনে ভূমিকা রেখে আসছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রাঙ্গামাটির আট ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলার সাড়ে ২৬ হাজার নিবন্ধিত জেলে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে।

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান বিপণন কেন্দ্র ছাড়াও জেলার কাপ্তাই, মারিশ্যা ও খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে তিনটি উপকেন্দ্র রয়েছে। এসব বিপণন কেন্দ্রে অবতরণ করা মাছের মধ্যে বেশির ভাগই কাঁচকি, চাপিলাসহ অন্য ছোট প্রজাতির মাছ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অবতরণ করা মাছের ৯৩ শতাংশ ছোট প্রজাতির। বাকি ৭ শতাংশ পাওয়া গেছে কার্পসহ অন্যান্য বড় মাছ।
তবে বিপণন কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্যান্য বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে বড় মাছ বেড়েছে। অন্যান্য মৌসুমে ৪-৫ শতাংশ বড় মাছ পাওয়া গেলেও এবার ৭ শতাংশ বড় মাছ পাওয়া গেছে।

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৯১০ টন মাছ অবতরণ করা হয়েছে।

মৎস্যজীবীরা বলছেন, চলতি আহরণ মৌসুমের শুরুর দিকেই কাপ্তাই হ্রদে ভরপুর পানি আছে। যার সুফল পাওয়া যাবে মৌসুমজুড়েই। গত কয়েক বছর পানিস্বল্পতার মধ্যে হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হয়। এর ফলে মৌসুমের শেষ দিকে আহরণে ভাটা পড়ে। তবে এবার সেই আশঙ্কা না থাকায় মাছ উৎপাদন বাড়তে পারে।
চথ/ফখ

এই বিভাগের আরও খবর