ব্যক্তিগত উদ্যেগে খালের উপর কাঠের ব্রিজ অলি উদ্দিনের
চট্টগ্রামের নোয়াখালীর ১নং চরজব্বার ইউনিয়নে একটি খালে কোন ব্রিজ ও কালভার্ড ছিল না। এতে দুই পাশের লোকজনের চলাচলে কষ্টের শেষ ছিল না। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হতো। তবে তাদের এ কষ্টের সারথি হয়ে এগিয়ে এসেছেন অলি উদ্দিন হাওলাদার নামের এক সমাজসেবক।
তিনি সম্প্রতি ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ১২ নং সমাজের খালের উপর ব্যক্তিগত উদ্যেগে কাঠের ব্রিজ নির্মান করে দেন। এতে দুই গ্রামের মানুষ চলাচলে আর কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
অলি উদ্দিন হাওলাদার চট্টলার খবরকে বলেন, খালটির উপর ব্রিজ না থাকায় দুই গ্রাম যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক রকম বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক দূর ঘুরে প্রতিবেশির বাড়িতে যাওয়া আসা করতে হবে এলাকাবাসীকে। যা দেখে আমার মনে পীড়া দিয়েছে। তাই জনগণের দূর্ভোগ লাগবে আমার সামর্থ্যমত একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলাম।
তিনি বলেন, এখন থেকে দুই গ্রামের মানুষ খুব সহজে খালের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় এগিয়ে যাবে।
এলাকার বয়োবৃদ্ধ জয়নাল আবেদিন বলেন, অলি উদ্দিনের এ উদ্যেগ এলাকায় অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি এলাকাবাসীর জন্য আর্শীবাদ হিসেবে এসেছেন। তারমতো কাউকে যদি জনপ্রতিনিধি বা চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকাবাসী পাই তাহলে পিছিয়ে পড়া চরজব্বর ইউনিয়ন আলোর মুখ দেখবে।
এলাকার অধিবাসী ফয়সাল, জলিল, মোবারক বলেন, খালটির উপর একটি ব্রিজ করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের কাছে আমরা বারবার বলেছি। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা অলি উদ্দিন হাওলাদার প্রচুর টাকা খরচ করে কাঠের ব্রিজটি তৈরি করে দিলেন। এতে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে খুশীর বন্যা চলছে।
স্কুল ছাত্রী তাহিন তাহা বলেন, প্রায় আধা কিলোমিটার পথঘুরে স্কুলে যেতে হতো। কাঠের ব্রিজটি হওয়ায় এখন তিন মিনিটের মধ্যে ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে যেতে পারছি।
চখ/ফখ