chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত চট্টগ্রাম, উৎসবের আমেজ

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম এই সুড়ঙ্গপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দুয়ার খুলছে। এটিই দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। উদ্বোধনের পর টানেল পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারায় উপজেলায় গিয়ে কোরিয়ান ইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে চট্টগ্রামবাসী। এর মধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনী আমেজটা ঠিক নির্বাচনী উৎসবের মতো। তাই পুরো চট্টগ্রামেই বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সম্পন্ন হয়েছে সাজসজ্জা ও প্রচার-প্রচারণার কাজ। নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে গেছে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা এবং নগরের পতেঙ্গা থানা এলাকা। জনসভাকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাড়ে হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকছে। এছাড়া জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় থাকছে সিসি ক্যামেরা।

টানেলকে ঘিরে উৎসবের আমেজ কর্ণফুলীর দুই প্রান্তে। সেখানে দুই দিনের উৎসব চলছে। গত কয়েক দিন সন্ধ্যায় পতেঙ্গা প্রান্তে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। পতেঙ্গা প্রান্ত এবং আনোয়ারা প্রান্তের সড়ক ও সড়কদ্বীপ সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। রাতে বর্ণিল আলোয় ঝলমল করছে কর্ণফুলীর দুই পাড়। চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী থানা এলাকায়ও সাজগোজ করে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামের এ জনসভা থেকে নির্বাচনেরও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তাই বিপুল লোকসমাগম ঘটিয়ে দলের শক্তি ও জনসমর্থনের প্রমাণ দেখাতে চায় আওয়ামী লীগ। অতীতে চট্টগ্রামের সব জনসভার রেকর্ড ছাপিয়ে আনোয়ারার কালকের জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন দলের নেতারা।

এদিকে আনোয়ারায় সমাবেশস্থলের আশপাশ থেকে শুরু করে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় এখন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের ব্যানার-পোস্টার ও ফেস্টুনে সয়লাব। নগরের প্রধান সড়ক ছাপিয়ে পোস্টার-ব্যানার টাঙানো হয়েছে অলিগলিতে। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে বড় বড় ব্যানার টাঙিয়েছেন নেতাকর্মীরা। যেন বড় ব্যানার টাঙানোর প্রতিযোগিতা চট্টগ্রাম জুড়ে। তবে অধিকাংশ ব্যানার-বিলবোর্ড, ফেস্টুনে দলীয় প্রধানের ছবির তুলনায় বড় করে ছাপানো হয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ছবি।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম। রংতুলির আঁচড়ে বিবর্ণতা দূর করে নবরূপ পেয়েছে বন্দরনগরী। ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। ফুটপাত, সড়কদ্বীপ, ফ্লাইওভারে পড়েছে রঙের ছোঁয়া।
আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠ কয়েকদফা পরিদর্শন করেছেন দায়িত্বশীল নেতারা। সাড়ে ৯ লাখ বর্গফুটের মাঠে নির্মাণ করা হচ্ছে নৌকার আদলে সাত হাজার বর্গফুটের বড় মঞ্চ। এই মঞ্চে একসাথে ৩০০ নেতা বসতে পারবে।

মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সাহাবুদ্দিন ডেকোরেটার্সের মালিক মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মঞ্চ ও মঞ্চের সামনে প্যান্ডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষ। আমরা শুক্রবারের বিকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবো।’

জনসভায় নেতাকর্মীদের বহন করা বাস রাখার জন্য কেইপিজেডের অব্যবহৃত চারটি মাঠ সংস্কার করে পার্কিং জোন করা হচ্ছে। এ ছাড়া জনসভায় সাউন্ড সিস্টেমে সার্ভিস দেবে ঐতিহাসিক ‘কলরেডি’। জনসভাস্থলসহ মাঠের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকবে কলরেডির ২০০ মাইক।

চখ/ফখ

এই বিভাগের আরও খবর