বিচারকে মারধর মামলায়: আপিলও বহাল কারাদণ্ড,দেশ ছেড়েছে আকবর
নগরের পতেঙ্গার আউটার রিং রোডে রেসিং করে উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করায় জহির উদ্দিন নামে এক বিচারকের ওপর হামলার ঘটনায় আলী আকবর ইকবাল নামে এক যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড আপিলে বহাল রেখেছেন আদালত। রায় প্রদানের তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতেও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ২০২১ সালের ৮ মার্চ আলী আকবর রায় বাতিল চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আলী আকবর ইকবাল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘হায় মুজিব’ নেতা হিসেবে পরিচিত হাজি ইকবালের ছেলে। আপিলে রায় বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ।
তবে সূত্র জানিয়েছে এর আগে দেশ ছেড়েছে হাজি ইকবালের ছেলে আলী আকবর ইকবাল।
মামলার নথিতে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করায় তৎকালীন চট্টগ্রামের ৫ম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জহির উদ্দিনের ওপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় আলী আকবর এবং তার সহযোগী হাসান আলী জিসানকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। দণ্ডপ্রাপ্ত আলী আকবর ও খালাসপ্রাপ্ত তার সহযোগী আউটার রিং রোডে উল্টোপথে সেদিন মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এ সময় ওই পথ দিয়ে গাড়ি নিয়ে অন্যত্র যাচ্ছিলেন জজ জহির উদ্দিন। মোটরসাইকেল তার গাড়ির সামনে পড়লে তিনি উল্টোপথে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে জানতে চান। এ সময় তারা বিচারক ও গাড়িতে হামলা চালান। এ ঘটরার পরপরই বিচারক জহির উদ্দিনের গাড়ি চালক রাজু শেখ বাদী হয়ে আলী আকবর ও আলী হোসেন জিসানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আলী আকবর ও তার সহযোগী আলী হোসেন জিসানকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত আলী আকবর ইকবালকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। অন্য আসামি আলী হোসেন জিসানকে খালাস দিয়েছেন।
চখ/জুঈম