chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৯১

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে।২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আরো এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলিত আগস্ট মাসের ১২ দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া নাসিমা আক্তার (৩২) সীতাকুন্ড উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ তার মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু  আক্রান্ত হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯১ জন। এর আগে গতদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৩ জন।

শনিবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৫ জন রোগী।এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নতুন ভর্তি রয়েছে ১৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে।এই হাসপাতালে ২৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।

এ বছর এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৩ জন। গত জুলাই মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মিলেছে ২ হাজার ৩১১ জন।

নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৬৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২ হাজার ৬৫৮ জন।

এ মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় চলিত আগস্টেই মিলেছে ৭৬৫ রোগী।গত  মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মিলেছিল ১ হাজার ৬৮৮ জন।

এ ছাড়া এবছর ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত জুলাই মাসেই মারা গেছেন ১৭ জন। মৃত্যু হওয়া বেশিরভাগ রোগী সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু বাংলাদেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে আছে। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতি বছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। করোনা মহামারি শুরুর বছর ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল।

কিন্তু গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার ৪৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ৪১ জনের মৃত্যু হয়। করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে বিশ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

তবে ডেঙ্গুতে এ বছর কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বা প্রতি বছর কত মানুষ আক্রান্ত হন, তার সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যাই শুধু প্রকাশ করে। বাস্তবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন।

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সবার আগে সচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়া জরুরি। যেকোনো সময় ঘুমাতে গেলে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। কোনো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

 

চখ/এআর

এই বিভাগের আরও খবর