chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লিচুর চড়া দামে তালের শাঁসে তৃষ্ণা নিবারন

জ্যৈষ্ঠের প্রখর গরমে বাজারে উঠার অপেক্ষায় বাহারি জাতের সুস্বাদু আম। লিচু চড়া দামে টাকা গুনছে মানুষ তখনি  তালের শাঁসই তৃষ্ণা নিবারনে একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নিচ্ছেন পথচারিসহ সবাই।

কম দাম তাজা ও ফরমালিনমুক্ত বলে তৃষ্ণা নিবারনের পাশাপাশি কিছুটা ক্ষুদা নিবারন করে এটি। তাই শহরে এর কদর বেড়েছে। চট্টগ্রামে নগরীর ফলমন্ডিতে পাইকারি দরে তালের শাঁস ক্রয় করতে এসেছেন বেসরকরি চাকরী জীবি শরিফ।

তিনি জানান, একে সুস্বাদু অন্যদিকে কচি তালের শাঁস জলীয় অংশ বেশি থাকায় তা দেহের পানিশূণ্যতা অনেকটাই পূরণ করে। ফলে জ্যৈষ্ঠের এ গরমে শহরে এর চাহিদা বেশ কদর বেড়েছে তালের শাঁসের।ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সি সহ নানা ধরনের পুষ্টির চাহিদাও মিটছে তালের শাঁসে। পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও।

তালেরশাঁস বিক্রি করতে আসা আবুল কালাম। তিনি মাটিরাঙ্গার থেকে শহরে বিভিন্ন আলাকায় এনে বিক্রয় করেন অন্তত ১শত তালের গাছ ক্রয় করেন তিনি। তালের সংখ্যা এবং দুরত্বের উপর ভিত্তি করে প্রতি তালগাছ দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা ক্রয় করেন। একই সাথে প্রতি পিস তাল ৬টাকা করে ক্রয় করে ৮ থেকে ৯টাকা বিক্রি করে থাকেন। বিক্রিকৃত তালের লাভের টাকা দিয়ে পরিবারের ব্যায় নির্বাহ শেষে অন্য পেশায় জড়িত হয়ে যান তিনি।

আরেক তাল ব্যাসায়ী জানান, একটি তাল থেকে দু’টি বা তিনটি শাঁস থাকে। প্রতি শাঁস পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়। বড় তালের শাঁস বিক্রি বিক্রি বিশ টাকায় গ্রামে গুরে গুরে তাল গাছ ক্রয় করি নিজেই তাল গাছে উঠে তাল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করি যা হয় তা দিয়ে কোনমতে তিন জনের সংসার মোটামোটি চলে যায়।

তালের শাঁস বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। আমি প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কাঁদি (ছড়া) তাল বিক্রি করি। গাছ থেকে তালের কাঁদি কেটে তা আবার নামানো, বাজারে বয়ে আনা, তারপর কাটাকুটি করে তবেই ক্রেতার হাতে দিতে হয়। কষ্ট হলেও বেশ লাভ হয়।

ক্রেতা  রহমত উল্লাহ বলেন, আমার পরিবারের সবাই তালের শাঁস খুব পছন্দ করে। আমি সময় পেলেই তালের শাঁস ক্রয় করি। সুমিষ্ট এ ফলটি অল্প সময়ের জন্য পাওয়া যায়। তাই বাজারে দেখলেই আমি বাসার সকলের জন্য তা সংগ্রহ করার চেষ্টা করি।

কৃষি কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, তালের শাঁস পাকা তাল ছাড়াও এখন বজ্রপাত রোধে বিভিন্ন রাস্তার ধারে ও খালের পাড়ে তালগাছ রোপণ করতে বলা হচ্ছে। এ বছর তালের ফলনটাও ভালো হয়েছে। এছাড়া এবার নতুন নতুন গাছে থেকে তাল ধরেছে। এসব গাছের তাল পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে বীজ করা যায়।

চখ/জুইম