বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে, তা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”
আজ রবিবার (৪ জুন) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুর্নীতি বিষয়ক মামলার বিচারকার্যের সাথে সম্পৃক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত একটি কোর্সের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী। পরে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী, ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অফ গভর্নমেন্ট-এ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই বিষয়ে কোন অস্পষ্টতা নেই।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন যে নির্বাচনকালীন সরকারে কারা থাকতে পারেন, সে বিষয়ে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।”
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একজন র্যাপোর্টিয়ার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, “এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন অপপ্রয়োগ ও অপব্যবহার হচ্ছিলো, তখনই আমি বলেছি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের অপপ্রয়োগ ও অপব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিস্কারভাবে বলেছি যে এই অপপ্রয়োগ ও অপব্যবহার বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে।”
আনিসুল হক বলেন, “এটা কারো প্রেসক্রিপশনের ওপর নির্ভরশীল নয়। আমরা যখন মনে করেছি যে, অপব্যবহার হয়েছে, আমরা স্বীকার করেছি এবং সেই অপব্যবহার সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
চখ/জুইম