চট্টগ্রামে করোনা টিকা নিতে আগ্রহ কম
দীর্ঘদিন বন্ধ থেকে ফের শুরু হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস টিকা প্রদান। তারই লক্ষ্য চমেক হাসপাতালে গতকাল (৩ জুন) থেকে শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম। তবে টিকা নিতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। দুই দিনে টিকা নিয়েছেন কেবল ১০৮ জন।
সরেজমিনে রবিবার (৪ জুন) দেখা যায়- চমেক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরোনো প্রশাসনিক কনফারেন্স কক্ষে টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কক্ষের বাইরে বড় পোস্টারে ‘কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র’ লেখা। কক্ষের বাইরে এক জন নিরাপত্তা প্রহরী দায়িত্ব পালন করছেন। ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেলো ৮- ১০ জন স্বাস্থ্য কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্ত টিকা নিতে আসা সংখ্যাটা খুব সীমিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী চট্টলার খবরকে বলেন- আজকে টিকা নিয়েছেন ৫৪ জন। গতকালও ৫৪ জন নিয়েছেন। একদমই টিকা নিতে আসছে না। গরমের কারণে নতুবা টিকা প্রদান শুরু হওয়া খবর না জানায় আসছে। এটা আমরা মনে করছি। টিকা তো অনেক আছে, সে তুলনায় মানুষ নেই।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে- সকাল ৯ টায় শুরু হয় টিকা দান। শেষ হয় দুপুর ১ টায়। প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ, তৃতীয়, চতুর্থ এবং বুস্টার ডোজ টিকাও দেওয়া হচ্ছে। শুধু টিকা কার্ড নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
চমেক হাসপাতাল বাদে অন্যকোনো টিকা কেন্দ্রে প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সেলিম আকতার চৌধুরীকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে, ২৮ মে চট্টগ্রামে প্রথম দফায় ৫১ হাজার ৮৪০ ডোজ টিকা আসে। বিষয়টি চট্টলার খবরকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআইয়ের তত্ত্বাবধায়ক হামীদ আলী। তিনি বলেন, ২৮ মে টিকাগুলো হাতে পেয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে টিকাগুলো এসেছে। এগুলো ফাইজারের তৈরি টিকা। নাম হলো ভিসিভি বা ভ্যারিয়ান্ট কনটেইনিং ভ্যাকসিন। বুস্টার ডোজ হিসেবে এ টিকাটি দেওয়া হবে। এছাড়া দেওয়া হবে তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজের টিকাও। বিভিন্ন উপজেলায় যাচ্ছে এই টিকাগুলো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে- এই পর্যন্ত দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮.৫১ ভাগ মানুষকে ১ম ডোজ, ৮২.১৮ ভাগ মানুষকে ২য় ডোজ, ৩৯.৬২ ভাগ মানুষকে ৩য় ডোজ এবং ১.৮৫ ভাগ মানুষকে ৪র্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে। এবার ৩য় ডোজ পাবে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তি, ৪র্থ ডোজ পাবে ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী বা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধারা। ৩য় ডোজ দেয়া হবে ২য় ডোজ টিকা প্রাপ্তির ৪ মাস পর, ৪র্থ ডোজ পাবেন ৩য় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস পর।
নচ/মআ/চখ