চট্টগ্রামের ভুজপুরে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো.হাসানকে সাত বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। শনিবার (৩ জুন) সকালে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার এই তথ্য জানান।
গ্রেফতার মো.হাসান (২৫) ভুজপুর থানার শান্তিনগর আনারস টিলা এলাকার মো.জাহাঙ্গীরের ছেলে।
র্যাব জানায়, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীকে একা রেখে তা মা পাশের গ্রামের আরেক মেয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওই সময় মেয়েকে চাচার কাছে রেখে তার বাবা বের হয়ে যায়। পরের দিন প্রতিবেশী ফারহানা তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফারহানা ভুক্তভোগীকে অভিযুক্ত মো. হাসানের কাছে রেখে চলে আসে। পরে হাসান ভুক্তভোগীকে মুখ বেঁধে রামগড় টি-আর চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আসামি তার বন্ধুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর গ্রামের অপর এক চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
র্যাব আরও জানায়, ঘটনা জানাজানির পর ভুক্তভোগীর বাবা মো.কালা মিয়া বাদী হয়ে থানায় ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে ধর্ষক হাসান গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে হাসানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে ধর্ষক মো.হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার জানান, গ্রেপ্তারের পর হাসান ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তা বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরকে/ মআ/চখ