চকরিয়ায় গৃহকর্মী মণি হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় শিশু গৃহকর্মী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমা আক্তারকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
শনিবার (২৭ মে) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের সদর ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার সুমাইয়া আক্তার চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাজিয়ানপাড়া এলাকার কামাল হারুনের স্ত্রী।
গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞাপ্ততে র্যাব-১৫ জানায়, গত ১০ মে সুমা আক্তার তার বাসার গৃহকর্মী মিফতাহ মণি (১০)কে পাশবিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করে গৃহকর্মী মিফতাহ মণি।
হত্যাকান্ড সংঘটনের পর সুমা আক্তার তার স্বামীর সহযোগিতায় মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেয়। চতুরতার সাথে গৃহকর্মীর পরিবারকে জানানো হয়, ডায়রিয়ার কারণে ওই গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
পরবর্তীতে গৃহকর্মীর মরদেহ এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে মহেশখালীতে পাঠিয়ে দিয়ে বাড়ির মালিক হারুন ও তার স্ত্রী সুমা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন এবং মৃত্যুর পরবর্তীতে মরদেহ ফ্রিজে রাখার আলামত পেয়ে চকরিয়া থানাকে অবহিত করে।
পরে ১৬ মে কামাল হারুন ও তার স্ত্রী সোমা আক্তারের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন গৃহকর্মী মিফতাহ মণির পিতা মো. সৈয়দ নুর।
মামলার পর ঘটনাটি জানা জানি হলে দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই র্যাব-১৫ আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
শনিবার ভোর রাতে র্যাবের চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম খান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত সুমা আক্তার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চখ/আর এস