chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লোহাগাড়ায় ৬ মাদকারবারী আটক

লোহাগাড়ায় ৭২ কেজি গাঁজাসহ ৬ মাদকারবারীকে আটক করা হয়েছে। সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও এলাকার সম্রাট রাকেশও রয়েছেন।

সোমবার (২২ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় লোহাগাড়া থানার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন- মো আলী হোসেন(২৭),  মো. আমান উল্লাহ (২৬),মো. ইদ্রিস (৩৮),  মোহাম্মদ হোসাইন (৩৫),  মো. আব্দুর জব্বার (৩৮), মো নুরুল কাদের ভুট্টো (২৫)।

র‌্যাব জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাঁকা রাস্তার উপর তল্লাশী চালায়।ওই সময় দুটি সন্দেহজনক পিকআপকে আসতে দেখে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপ দুটি না থামিয়ে মহাসড়কের উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।এ সময় র‌্যাব সদস্যরা আসামীদের আটক করে।

পিকআপ তল্লাশী করে পিছনে ফলের ক্যারেটের নিচ হতে ৩ টি সাদা রঙের ছোট-বড় প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর হতে এবং অন্য একটি পিকআপের ড্রাইভার সিটের পিছনে কেবিনে থাকা ২টি হলুদ রঙের বস্তার ভিতর হতে মোট ৭২ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ এবং মাদকদ্রব্য পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপদুটি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ টাকা।

র‌্যাব আরো জানায়, সম্রাট রাকেশ দীর্ঘদিন ধরে  নগরীর চাঁন্দগাও-মোহরা এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল।  তার বিভিন্ন আস্তানা ও মাদক চালান সরবরাহ তিনবার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য আটক করা হয়।কিন্তু প্রতিবারই সে ধরাছোয়ার বাইরে ছিল।

আসামী রাকেশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার আদি নিবাস ও জন্মস্থান ভারতের ত্রিপুরায়। সেখানে তার বাবা মা মারা যাওয়ার পর তার বয়স যখন দশ বছর তখন সে অন্য লোকের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ চলে আসে। বাংলাদেশে এসে প্রথমে নোয়াখালী ও পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় সেলুনে কাজ করতো। এরপর বন্দরটিলা এলাকায় গাড়ির হেলপারের কাজ নেয় এবং লোহাগাড়া থানার চুনতি গ্রামে বিবাহ করে। পরবর্তীতে নাম পরিচয় পরিবর্তন করে বাংলাদেশি ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস তৈরি করে বাংলাদেশেই বসবাস করে আসছে।

বর্তমানে বিগত ১০ বছর ধরে রাকেশ তার পরিবার নিয়ে সীতাকুণ্ড থানার জংগল সলিমপুর ইউনিয়ন ছিন্নমূল এলাকায় বসবাস করে আসছে। রাকেশ শীল মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হোছাইন নামে পরিচয় দিয়ে থাকে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তার ভারতীয় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে এবং চাঁন্দগাও থানার মোহরা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে নিজে জনবল নিয়োগ দিয়ে মাদক আখড়া চালু করে। ধীরে ধীরে তার মাদক ব্যবসা ফুলে-ফুঁপে উঠলে সে কক্সবাজারেও গাঁজা ও ফেন্সিডিল সরবরাহ শুরু করে এবং সেখান থেকে ইয়াবার চালান এনে চট্টগ্রামে বিক্রয় শুরু করে।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নচ/মআ/চখ

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর