chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

১৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দুবাইয়ে ব্যবসায়ি,দেশে ফেরাতে নির্দেশ : আদালত

একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় হাজার কোটি টাকা না দিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমানো ইমাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আক্তারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার (২১ মে) পুলিশের আইজি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সোনালী ব্যাংকের পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান ।

আদালত সূত্র জানায়, ১৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯০ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে সোনালী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার পক্ষ থেকে ২০১২ সালে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলা করা হয়। মামলার রায় প্রকাশের পর টাকা আদায়ে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর একই আদালতে জারি মামলা করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জেবুন্নেছা আক্তার ও তার মা পরিচালক হামিদা বেগমকে।

ঋণের বিপরীতে কোনও স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক বা সহায়ক আমানত ছিল না। তাই দায় সমন্বয়ের জন্য নিলাম কার্যক্রম নিতে পারেনি ব্যাংক। তবে ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সম্পত্তি ক্রোক করা হলেও তা পূর্বে অন্য ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকায় নিলামে বিক্রি সম্ভব হয়নি। এ কারণে অর্থঋণ আইনের ৩৪(১) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশসহ ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

এই দম্পতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। দেশের অর্থপাচার করে দুবাইয়ে নানাবিধ ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে অন্তত ১৫টি খেলাপি ঋণের মামলা চলমান আছে। যেখানে ব্যাংকগুলোর দাবি করা ঋণের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা।

মামলার আদেশে বলা হয়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়েও ব্যাংকগুলো তাদের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি। দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করার মাধ্যমে এই ঋণ খেলাপিরা রাষ্ট্রের ব্যাংক ও আর্থিক খাতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। দীর্ঘ এক যুগ ধরেও এই শীর্ষ ঋণ খেলাপিরা কোনও টাকা পরিশোধ না করার কারণে ব্যাংকও বিনিয়োগখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নাগরিকদের আমানতের ঋণের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতিকারী বিদেশে পাচার করে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ মাসের আটকাদেশ দেওয়া হলো।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর