‘সেঞ্চুরি’ পথে পেঁয়াজ
বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। দ্রুতগতিতে তা ‘সেঞ্চুরি’ হাঁকাতে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি প্রায় সবধরনের পেঁয়াজ প্রায় ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই।
আজ শনিবার (২০ মে) চটগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজার, পাহাড়তলী বাজার ও রেয়াজউদ্দীন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলোতে দেখা যায়, তুলনামূলক আকারে ছোট এবং ক্রস জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।
কিছুদিন আগেও ৩ কেজি পেঁয়াজ ছিল ১০০ টাকায় কিন্তু তা এখন সেই দামে কিনতে হচ্ছে ১ কেজি। দ্রুত গতিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
পেঁয়াজের এ মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এজন্য অনেকে ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছেন। তারা মনে করছেন, সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বেসরকারি চাকরী জীবি সাইফুর ঘরের জন্য বাজার এসেছেন তিনি ।
রেয়াজউদ্দীন বাজারে আসা সাইফুর বলেন, রোজার আগে ৩ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকায়। এদিন ১ কেজি কিনলাম ৮৪ টাকায়। গত সপ্তাহে কিনেছি ৭০ টাকায়। দর বেড়েই চলছে।
কেনাকাটা করতে আসা মো: সবুজ বলেন, ৮৫ টাকার নিচে বাজারে পেঁয়াজ নেই। সেটারও মান ভালো নয়। এভাবে হলে আমরা চলব কীভাবে?
পেঁয়াজ বিক্রেতা সামাদ বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বেশি। ভারত থেকে নিত্যপণ্যটি আসছে না। তাই এখন বাড়তি আছে।
তবে এনায়েত উল্লাহ নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। তবে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখন তারা অযুহাত দেখাচ্ছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ নেই।
মূলত রোজার ঈদের পর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৫ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহে প্রভাব পড়েছে।
সমাধানে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা লক্ষ্য রাখছি। আপাতত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে আমদানি করা হবে।
জুইম/