নানার বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ: ১৬ ঘণ্টা পর লাশ মিলল পুকুরে
গেল শুক্রবার মায়ের সাথে সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কেঁওচিয়া মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের বাড়িতে বেড়াতে আসেন ৯ বছরের শিশু মাঈন উদ্দিন আরাফাত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আরাফাত মায়ের সঙ্গে শুয়ে ছিল। মা ঘুমিয়ে পড়লে সে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজনসহ আত্মীয় স্বজনরা আশে পাশে অনেক খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি।
পরে সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া পরিবারের লোকজনের অনুরোধে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস থেকে একটি ডুবুরি টিম মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এবং পরে জেলেদের দিয়ে পুকুরে জাল ফেলেও শিশু আরাফাতের সন্ধান মেলেনি।
আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে পাশ্ববর্তী মাষ্টার বাড়ি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় আরাফাতের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পরিবারকে খবর দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে শিশুর চাচা মো. ইয়াছিন বলেন, আরফাত উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আদর্শ গ্রাম এলাকার ওমান প্রবাসী আবদুল মান্নানের ছেলে। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। গেল শুক্রবার মায়ের সাথে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো আরাফাত।
তিনি বলেন, আরাফাতের মৃত্যুর খবর তার পিতা আবদুল মান্নানকে জানানো হয়েছে। সে খবর পেয়ে দেশে এসেছে। বুধবার বিকেলে নামাজের জানাজা শেষে আরফাতকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সাতকানিা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মঙ্গলবার কেঁওচিয়া গ্রামে একটি শিশু নিখোঁজের খবর জেনেছি। তবে, এ ব্যাপারে থানায় কেউ নিখোঁজ ডায়েরি করেনি। আজ বুধবার সকালে শিশুটির খবর নিতে গেলে জানতে পারি পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেছে।
চখ/আর এস