চমেক হাসপাতালে যত্রতত্রমোটর সাইকেল নিষেধ!
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কর্মকর্তা যততত্র গাড়ি রাখায় রোগী নিয়ে আসা গাড়িগুলো ভোগান্তিতে পড়তো। তার সমস্যা সমাধানে পার্কিং শেড চালু করলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার যততত্র মোটরসাইকেল রাখলেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পাশ ঘেঁষে করা হয়েছে এই পার্কিং শেড। অর্ধেক দেওয়াল, উপরে টিনের চাল। চালের বরাবর একটি সাইন বোর্ড ঝুলানো। সেখানে লেখা আছে- হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্টিকারযুক্ত মোটরসাইকেল ব্যতীত অন্যদের মোটরসাইকেল রাখা সম্পূর্ণ নিষেধ’।
জানা গেছে, পার্কিং শেডে গাড়ি রাখতে স্টীকার সংগ্রহ করতে হবে। শুধুমাত্র স্টীকার লাগানো বাইক রাখা হবে। গাড়ির বৈধ্য কাগজ – পত্র দিয়ে পরিচালকের কার্যালয় থেকে সেই স্টীকার সংগ্রহ করতে হবে। এতে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। তবে কেবল হাসপাতালের কর্মকর্তা – কর্মচারীরা স্টীকার পাবেন।
পার্কিং শেডে দায়িত্ব পালন করা মো. ইমাম হোসেন ইমন বলেন, এ শেডে দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ মোটরসাইকেল রাখা যাবে। গত দুদিন ধরে এ শেডে গাড়ি রাখা হচ্ছে। আগে হাসপাতালের কর্মকর্তারা জরুরি বিভাগ, মূল ফটক, হাসপাতালের পেছনের বারান্দাগুলোতে মোটরসাইকেল রাখতেন। বিশেষ করে জরুরি বিভাগে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি ছিলো। এতে রোগী বহন করা অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিপাকে পড়তে হতো। কিছু ইমার্জেন্সি রোগী আসে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়, দেরি হলে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। তাই হাসপাতালের এ সব বারান্দা মোটরসাইকেলমুক্ত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত রোববার (৭ মে) থেকে এ কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই গাড়িগুলো রাখার জন্য তিন শিফটে তিনজন কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।
এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘রোগীদের সুবিধার্থে আমরা এই সিস্টেম চালু করেছি। যাদের মোটরসাইকেল আছে তাদের স্টিকার সংগ্রহ করে লাগাতে বলা হয়েছে। দুদিন পর আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। যাদের মোটরসাইকেল বাইরে থাকবে, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। রোগীদের প্রতি আমরা কোনো প্রকার হয়রানি সহ্য করবো না।