chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অপহৃত শিশু মাহিম ফিরলো মায়ের কোলে

নগরের চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা এলাকায় গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে আড়াই বছরের শিশু মাহিমকে অপহরণ করা হয়। সে সময় স্থানীয় এসএস ভবনের সেমিপাকা কলোনির প্রবেশ মুখে খেলাধুলা করছিল মাহিম। একই এলাকার বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক মাসুম হাওলাদার (মাহিমের বাবা)। অপহরণে ব্যবহৃত হয়েছিল তার অটোরিকশাটি।   

সন্তান নিখোঁজ হওয়ার পর চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মা পারুল বেগম। ভিডিও ফুটেজ দেখে সেই অটোরিকশা শনাক্ত করার পর অপহরণের ঘটনা উদ্ঘাটন করে পুলিশ।

শনিবার ( ২৯ এপ্রিল) সিএমপি’র পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় শিশু মাহিমকে বিক্রি করা হয়। অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক একজনকে গ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন,গ্রেফতার জুয়েলেরর কাছ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতার নুর ইসলাম মুরাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যেটি শিশু মাহিমকে বিক্রি করার জন্য অগ্রীম টাকা নিয়ে কেনা হয়েছিল।

গ্রেফতাররা হলেন, বায়েজীদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন বেপারী পাড়া ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. নুর ইসলাম প্রকাশ মুরাদ (২৪), বায়েজীদ বোস্তামী  থানার বালুচরা ইউনিয়নের আব্দুল খালেকের ছেলে মো.জুয়েল (১৯), হাটহাজারী থানার আলীপুর ইউনিয়নের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে মো.রাসেল (৩৭), হাটহাজারী থানার ছিফাতলী ইউনিয়নের নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী রিমা আক্তার (৩০), ও হাটহাজারী থানার  আলীপুর  ইউনিয়নের মো. হোসেনের ছেলে মো. হাশেম (২৯) পলাতক আসামী।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা শিশু অপহরণ দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সহযোগিতায় ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের অপহরণ করে আসছিল। অপহরণ করা শিশুদের বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ বলেন, ২৫ এপ্রিল দুপুরে বাসায় ছিলেন না মাহিমের বাবা মাসুম হাওলাদার। বাসায় ছিলেন মা পারুল বেগম। খেলাধুলা করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে গলির মুখে এসেছিল মাহিম। সেখান থেকে নুরুল ইসলাম মুরাদ ও মো.জুয়েল ফাহিমকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে মুরাদ ও জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণের কথা স্বীকার করে। হাটহাজারী থানার ছিপাতলীতে লুতি তালুকদার বাড়ি থেকে শিশু মাহিমকে উদ্ধার করা হয়। রাসেলের সহযোগিতায় রিমার কাছে টাকার বিনিময় ফাহিমকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। রাসেল এবং রিমাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

সাআ / চখ

এই বিভাগের আরও খবর