কক্সবাজার সাগর উপকূলে ভাসমান ট্রলারে মিলল বহু গলিত লাশ
কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভাসমান নৌকায় ১০ জেলের মরদেহের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। মরদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আজ রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা তাদের উদ্ধার করে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ সাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে বোটটির অবস্থান রয়েছে। মরদেহগুলো উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানিয়েছেন, কক্সবাজারের স্থানীয় ছেলেরা বঙ্গোপসাগরের গভীর এলাকায় ওই ফিশিং বোটটি দেখতে পায়।
তারা শনিবার ঈদের দিন রাতে ফিশিং বোটটি টেনে নাজিরা টেক পয়েন্টে নিয়ে আসে।সেখানে এনে বোটের ভেতর তারা গলিত বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলেদের থেকে খবর পেয়ে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বোটটি দেখেন এবং সেখানে কয়েকটি মরদেহ শনাক্ত করেন।
রবিবার সকালের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দলকে সঙ্গে নিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ। সকাল থেকে চেষ্টা করে মরদেহবাহী ফিশিং বোটটি উপকূলের কাছে এনে দুপুরের পর থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার শুরু করে।
মো. রফিকুল ইসলাম আরও জানান, মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারের কোলেস্টেরলজের ভিতরে থাকা মৃতদেহগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলো উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ উপায় সার্ভিস।
কী কারণে এ ঘটনা, তা বিস্তারিত জানাতে পারেনি ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের এই কর্মকর্তা। তবে তিনি বলছেন, মৃতদেহগুলো উদ্ধার করার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
১৫-১৬ দিন আগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে ডাকাতি করতে গিয়ে একদল জলদস্যু জেলেদের হামলার শিকার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল স্থানীয়দের মাধ্যমে।
হামলায় জলদস্যুরা মারা পড়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ওই দস্যুবাহিনীর বোটটি হাদিস পাওয়া যায়নি। সেসব জলদস্যুবাহিনীর সদস্যরা মহেশখালী চকরিয়া ও বাঁশখালীর বলেও জানা গিয়েছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, নাজিরার টেক পয়েন্টে ভেসে আসা বোটটি সেই বোট হতে পারে। তাই নাজিরটেক বোট আসার খবর পেয়ে নিখোঁজদের স্বজনরা সকাল থেকে নাজিরটেক এসে ভিড় করছে। ওই ফিসিং বোটের ভেতর ১৪-১৫টি পর্যন্ত মরদেহ থাকতে পারে।
চখ/আর এস