chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হালদায় ডিম ছাড়ছেনা মা মাছ

বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামে পরিচিত হালদা নদী। মেজর কার্প জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রাকতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। হালদা নদীতে চলছে মেজর কার্পজাতীয় মাছের ভরা প্রজনন মৌসুম।

কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট উচ্চ তাপমাত্রা ও ব্রজসহ বৃষ্টিপাত না হওয়ায়, হালদায় অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ার কারণে ডিম ছাড়ছেনা মা মাছ।

মেজর কার্পজাতীয় মাছের অত্যানুকুল তাপমাত্রা হচ্ছে (২২-৩০) ডিগ্রী সে.। তবে এরা অল্প সময়ের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ডিগ্রী সে. পর্ষন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। মেজর কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন আচরন পানির তাপমাত্রার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত।

মা মাছের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, ডিম্বাণুর পূর্নতা প্রাপ্তিতে দেরি, হরমোনের ভারসাম্যহীন হয়ে ডিম উৎপাদন কমে যাবে। কম সংখ্যক মা মাছ প্রজনন পরিপক্কতা অর্জন করে। পাশাপাশি উচ্চ তাপমাত্রা নদীর বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শৃঙ্খলাকেও প্রভাবিত করতে পারে।

অনেক জলজ উদ্ভিদ এবং প্রাণী মারা যেতে পারে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে । ফলে কার্প জাতীয় মাছের খাদ্য উৎস কমে তাদের বৃদ্ধির হার এবং সামগ্রিক নদীর বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্হাকে হ্রাস করতে পারে।

এছাড়াও উচ্চ তাপমাত্রায় মাছের বিপাকীয় হার বৃদ্ধির ফলে অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পেয়ে, শ্বসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে প্রজনন সাফল্যকে হ্রাস করতে পারে।

তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে আশারবাণী হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বর্তমান উচ্চ তাপমাত্রা আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে ৷ বর্তমানে হালদা নদীর বিভিন্ন স্পনিং পয়েন্টে মা মাছের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। যদি বজ্রপাতসহ পর্ষাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়। এবং পাহাড়ী ঢল নেমে পানিতে তীব্র স্রোত সৃষ্টি করে। পানির তাপমাত্রা কমে (২৭-২৯) ডিগ্রী সে. হয়। তখনই হালদা নদীতে কার্পজাতীয় মাছের ডিম ছাড়ার প্রাকৃতিক অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এবং মা মাছ ডিম ছাড়ে।

পরিবেশ অনুকুলে থাকলে আগামী পূর্নিমার জো’তে অর্থাৎ মে মাসের (২-৭) তারিখ মা মাছের ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

সাআ / চখ

এই বিভাগের আরও খবর