রেলওয়ে লোকোসেডে চোরাই স্লীপার ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে তুলকালাম!
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন কামাল কন্ট্রাক্টর রোড থেকে বিপুল পরিমানের চোরাই স্লীপারসহ চট্রমেট্রো ড-১১-১৫৫১ নাম্বারের একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেলের বিভাগীয় প্রকৌশলী-৩ দপ্তরের কর্মচারীরা চোরাই স্লীপার ভর্তি ট্রাকটি জব্দ করে পাহাড়তলী রেলওয়ে লোকোসেডের ভেতরে নিয়ে রাখে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রকৌশল বিভাগের কিছু কর্মচারী ট্রাকটিকে গতকাল রাতেই আটকের পর রফা দফা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেস্টা করছিলেন। এজন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে ম্যানেজ করে ট্রাকটি রেলওয়ে লোকোসেডের ভেতরে রাখা হয়।
গনমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি অবগত হয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার তথ্য জানতে চাইলে টনক নড়ে। পরে আরএনবির অস্ত্র শাখার অন্য একটি টিম এসে ট্রাকটি আটক করে। তবে এরই মধ্যে উধাও ট্রাকটির চালক ও হেলপার। খোঁজ মিলছে না তাদের।
গেটপাস/অনুমতি ছাড়া ট্রাকটি সংরক্ষিত এলাকার ভিতরে স্লীপার বোঝাই অবস্থায় কিভাবে প্রবেশ করলো এবং চালক-হেলপার কিভাবে পালিয়ে গেলো এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি সেই সময় লোকোসেডের মূল ফটকের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য তারেক, হাবিলদার রকি ও সংশ্লিষ্ট এলাকার ইন্সপেক্টর ইসরাঈল মৃধা।
এ বিষয়ে রেলের সিজিপিওয়াই প্রকৌশল দপ্তরে কর্মরত কর্মচারী নুরুজ্জামান জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাহাড়তলী ডিটি রোডস্থ সিটি ব্যাংকের বিপরীতে পাহাড়তলী থানাধীন কামাল কন্ট্রাক্টর রোডের মুখে ট্রাক থেকে স্লীপার নামানোর সময় সন্দেহ হলে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আটক করা হয়।
পরে বিভাগীয় প্রকৌশলী-৩ দপ্তরের উর্ধতন উপ সহকারী প্রকৌশলীর নির্দেশে স্লীপার ভর্তি ট্রাকটি লোকোসেডে নেয়া হয়। পরে আরএনবির একটি টিম এসে মালামালসহ ট্রাকটি আটক করে।
খবর পেয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী জাহিদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, সংরক্ষিত এলাকায় রাতের গভীরে কোন বাঁধা ছাড়া কিভাবে ট্রাকটি লোকশেডে ঢুকেছে, বোধগম্য নয়।
কাঠের স্লীপার গুলো সেডের নাকি অন্যকোনো স্থান হতে আনা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রকৃত কারন জানতে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানালেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র শাখার চীফ ইন্সপেক্টর রেজওয়ান। এদিকে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চখ/আর এস