chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাড়তি দাম, ভিড় ও ভোগান্তি এড়াতে আগাম কেনাকাটা

চট্টগ্রামে ঈদবাজার

রমজান শুরুর আগে থেকেই নগরে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। চলছে ৯ রোজা। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের বিপণিকেন্দ্রগুলোতে লেগেছে তরুণী ও মহিলাদের ভিড়। ঈদ বাজারের বাড়তি দাম, ভিড় ও ভোগান্তি এড়াতে এ আগাম কেনাকাটা কিংবা আগাম একটা ধারণার জন্য তাঁরা বিপণিকেন্দ্রমুখী। এতে খুশি বিক্রেতারাও।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের বিপণিকেন্দ্রগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। আসন্ন ঈদের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে এক বিপণিকেন্দ্র থেকে অন্য বিপণিকেন্দ্রে ছুটছেন তরুণ – তরুণীরা। দর যাচাইয়ের পাশাপাশি বিক্রিও জমে উঠেছে। কেউ কেউ থান কাপড় কিনে পছন্দসই ডিজাইনে পোশাক বানাতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্জিপাড়ায়। দোকানিরাও ঈদকে সামনে রেখে এখনই নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক তুলেছে।

অনেকেই ঈদের কেনাকাটার সময় ভিড় এড়াতে আগেভাগেই কাপড়চোপড় কিনে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ঈদের সময় নিজের পছন্দমতো ডিজাইনের পোশাক সেলাই করে পড়তে চান। তাই আগেভাগেই বিভিন্ন ডিজাইন দিয়ে দর্জির দোকানে পোশাক তৈরি করান। মূলত তাঁরাই আগে-ভাগের ক্রেতা।

বিপণিবিতান (নিউমার্কেট), টেরিবাজার, সেন্ট্রাল প্লাজা, লাকী প্লাজা, চিটাগং শপিং কমপ্লেক্স, কেয়ারি, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার, আমিন সেন্টার, প্যারামন্ট সিটি, মতি টাওযারসহ নগরের বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, থান কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় সবচেয়ে বেশি। পোশাক ও দর যাচাইয়ের পাশাপাশি বিকিকিনিও চলছে পুরোদমে। পছন্দের কাপড় কিনে ক্রেতারা ছুঁটছেন লেইস-ফিতা, জরি, চুমকির দোকানগুলোতে। তবে তৈরি পোশাক, অলংকার, ব্যাগ, জুতার দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা হলেও বেচাবিক্রি পুরোদমে এখনো শুরু হয়নি।

ভাল মানের সুতি তসর এবং পিউর কাপড়ের ওপর জাঁকজমকপূর্ণ কারুকাজ করা থান কাপড় এবার বেশি চলছে। গজ প্রতি এসব কাপড়ের দাম মানভেদে সর্বনিম্ম ১০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাপড় এবং ডিজাইনের সেলাইবিহীন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে  তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।

টেরিবাজারে আসা চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রী আনিকা তাবাসসুম চট্টলার খবরকে বলেন, রোজা ১৫ টার পর মার্কেটগুলোতে পা চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে। তাই আগেভাগে ঈদের কেনাকাটা সেরে নিলাম।

রিয়াজুদ্দিন বাজারে সব সময় ক্রেতাদের ভিড় থাকে। সেখানে ছেলে মেয়ে নিয়ে বাজার করতে এসেছেন চকবাজারের বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার। তিনি বলেন, রোজার প্রথম দিকে কাপড়চোপড়ের দাম কম থাকে। এছাড়া মার্কেটে ভিড় না থাকায় সাচ্ছন্দে কেনাকাটা করা যায়।

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর