প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে চলছে চমেক হাসপাতালের ক্যান্সার ভবনের কাজ
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১৮০ শয্যা ক্যান্সার ইউনিট, ৫০টি ডায়ালাইসিস মেশিনসহ ১৬৫ শয্যার কিডনি ইউনিট এবং ১১৫ শয্যার কার্ডিয়াক রোগীর সেবা দিতে ১৫ তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্প অনুমোদনের হয়। ২০২২ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে ।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্প অনুমোদনের পর কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারী অসায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। চট্টগ্রামসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের (ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একশ শয্যার একটি করে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনে এ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৯ সালে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। চমেক হাসপাতালের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ২৯ লক্ষ ৮১ হাজার। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময়সীমা ধরা হয়েছে। কিন্ত ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়াতে আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। একই সাথে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। ভবনটির ২ বেইসমেন্ট ১৫ হাজার ৫৫০ বর্গফুট, নিচ তলা ১৬ হাজার বর্গফুট, দ্বিতীয় তলা ১৪ হাজার ৯৪২ বর্গফুট, তৃতীয় তলা ১৬ হাজার ৯৬ বর্গফুট। এছাড়া চতুর্থ তলা ১৬ হাজার ৯৬ বর্গফুট, পঞ্চম থেকে পনের তলা ১৪ হাজার ৮৮৬ হাজার বর্গফুটসহ ১৭ তলা বিশিষ্ট ভবনটি সর্বমোট ২ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গফুটের।
সূত্রে আরও জানা যায়, ভবনটিতে বেইসমেন্ট দ্বিতীয় থেকে সপ্তম তলায় ১৮০ শয্যা বিশিষ্ট ক্যান্সার ইউনিট থাকবে। অষ্টম থেকে এগারো তলাতে ১৬৫ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস এবং বারো তলা থেকে পনের তলা পর্যন্ত ১১৫ শয্যার কার্ডিয়াক ওয়ার্ড করা হবে। এছাড়া ভবনটিতে ৯ টি লিফট, ১৫০০ কেভিএ সম্পন্ন ২ টি সাব-স্টেশন, ৫০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন অটো জেনারেটর, ফায়ার হাইড্রেন্ট, এয়ার কুলার, ১০০ কিলোওয়াটের সোলার সিস্টেম, সিওয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, গভীর নলকূপ, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, মেডিক্যাল গ্যাস সিস্টেম, এপ্রোচ রোড, এবং কম্পাউন্ড ড্রেইন থাকবে।
প্রকল্পের পরিচালক পরিচালক প্রকৌশলী রাহুল গুহ চট্টলার খবরকে বলেন, এখন দ্রুত কাজ চলবে। এখন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম ৭ তলার উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এখানে ক্যান্সার চিকিৎসা দেওয়া হবে। প্রকেল্পের মেয়াদও বাড়িয়ে ২৪ সাল করা হয়েছে।
কাজ এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন,‘ চট্টগ্রামে ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে সীমিত পরিসরে। আমরা চেষ্টা করছি প্রথম ৭ তলার কাজ দ্রুত শেষ করতে। এখানে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্সার রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। আশা করছি আগামী বছরের শুরুতে ক্যান্সার ভবনের ১ম তলা থেকে ৭ম তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হবে। তারপরে বাকি ওয়ার্ডের কাজও দ্রুত শেষ করা হবে।’
নচ/চখ