দেশ চায়নি যারা তারাই ক্ষমতায় যেতে মরিয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই এখন ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, তারা শুধু দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাই করেনি, এদেশের মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবীসহ বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে।
রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীস্থ জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়াম হলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে, এদেশের মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবিসহ বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে, যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। তবে, সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না। সেই দিন এখন আর নাই।
তিনি বলেন, আগামীতে যাতে এই দেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকে না। করোনায় গোটা বিশ্ব লন্ডভন্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করতে জিয়াউর রহমান নেপথ্য ভূমিকা রেখেছে। পরাজিতদের সঙ্গে এক হয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে এদেশের ক্ষমতায় বসেছে, এদেশের কপালে কলঙ্কের দাগ লাগিয়ে দিয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানুসহ আরও অনেকে।
সাআ / চখ